1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রিচার্ডসনের রোহিঙ্গা প্যানেল ত্যাগ

২৬ জানুয়ারি ২০১৮

রোহিঙ্গা সংকট সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্যানেল থেকে অভিজ্ঞ মার্কিন কূটনীতিক বিল রিচার্ডসনের পদত্যাগ নিয়ে জল বেশ ঘোলা হচ্ছে৷ মিয়ানমারের দাবি, তাঁকে প্যানেল থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল৷ তবে রিচার্ডসন বলছেন ভিন্ন কথা৷

https://p.dw.com/p/2rZWp
Bill Richardson
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Thet Htoo

মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চির কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, রিচার্ডসন ‘নিজস্ব অ্যাজেন্ডা' বাস্তবায়নের চেষ্টা করছিলেন৷ তাই সরকারের তরফ থেকে তাঁকে পরামর্শক প্যানেল থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে কেননা তাঁর অংশগ্রহণ সবপক্ষের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে ইতিবাচক হবে না৷

তবে রিচার্ডসনের মুখপাত্র মাইকি বার্গম্যান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গভর্নরকে ব্যক্তিগত বা লিখিত – কোনোভাবেই কেউ পদত্যাগ করতে বলেনি৷ বরং তিনি যাতে পদত্যাগ না করেন সেজন্য অনুরোধ করেছিলেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা৷সাবেক ক্লিন্টন প্রশাসনের মন্ত্রিসভার সদস্য রিচার্ডসন নিজে বুধবার রয়টার্সকে জানান যে, তাঁর কাছে মনে হয়েছে যে পরামর্শক প্যানেল ‘হোয়াইটওয়াশের' কাজ করছে এবং সু চি সেই প্যানেলের নেতৃত্ব দেয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন৷

রোহিঙ্গা বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্যানেলটিতে পাঁচজন বিদেশি এবং পাঁচজন মিয়ানমারের প্রতিনিধি ছিলেন৷ রিচার্ডসন প্যানেল থেকে সরে গেলেও বাকিরা কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে মার্কিন কূটনীতিকের বক্তব্যের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থানের কোনো সম্পর্ক নেই৷

প্রসঙ্গত, রিচার্ডসনের সঙ্গে সু চির বিরোধের সূত্রপাত হয় সোমবার এক বৈঠকের সময়৷ মার্কিন কূটনীতিক বৈঠকে মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে আটক এবং বিচারের বিষয়টি তুললে ক্ষেপে যান সু চি৷ রোহিঙ্গা সংকট সংক্রান্ত বৈঠকের সঙ্গে তাদের আটকের বিষয়টি সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মনে করেন তিনি৷

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ইয়াঙ্গনে পুলিশের আমন্ত্রণে এক ডিনারে অংশ নিতে গেলে আটক হন সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়া সো৷ গ্রেপ্তারের সময় রোহিঙ্গা সংকট কভার করছিলেন তাঁরা৷ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিয়নমারের গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে৷

এআই/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)