1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রামুর বৌদ্ধ পল্লী থমথমে

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২

বাংলাদেশের কক্সবাজারের রামুতে ১২টি বৌদ্ধ মন্দির এবং বৌদ্ধদের ৩০টি বাড়িতে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত জনতা৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার ঐ এলাকা পরিদর্শন করে ঘটনার জন্য একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন৷

https://p.dw.com/p/16Hgd
A Bangladeshi youth peers at the burnt Buddhist temple of Shima Bihar at Ramu, some 350 kilometres (216 miles) southeast of the capital Dhaka on September 30, 2012. Thousands of rioters torched Buddhist temples and homes in southeastern Bangladesh Sunday over a photo posted on Facebook deemed offensive to Islam, in a rare attack against the community. AFP PHOTO (Photo credit should read STR/AFP/GettyImages) Haupt.
ছবি: AFP/Getty Images

সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

স্থানীয় বসিন্দারা জানান, এক বৌদ্ধ যুবক সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে পবিত্র কোরান শরিফ অবমাননা করে ছবি সংযুক্ত করেছে - এমন অভিযোগ তুলে শনিবার রাত ৯ টার দিকে একটি ইসলামি দলের সদস্যরা মিছিল বের করে৷ মিছিলটি রামু উপজেলার বৌদ্ধ বসতি এলাকা বড়ুয়া পাড়ার দিকে এগিয়ে যায়৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এরপর মিছিল থেকে যুবকদের একটি দল বড়ুয়া পাড়ার বৌদ্ধ মন্দির এবং বাড়িঘরে আগুন দেয়া শুরু করে৷ এই তাণ্ডব এবং সহিংসতা চলে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত৷ এসময় ১২টি বৌদ্ধ মন্দির এবং বৌদ্ধদের ৩০টি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়৷ তারা আগুন দেয়া ছাড়াও শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাটে হামলা ও লুটপাট চালায় বলে ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান ঘটনার শিকার একটি পরিবারের সদস্য সুনীল বড়ুয়া৷

Bangladesh's Home Minister Mohiuddin Khan Alamgir (3rd L) visits a burned temple in Cox's Bazar September 30, 2012. Hundreds of Muslims in Bangladesh burned at least four Buddhist temples and 15 homes of Buddhists on Sunday after complaining that a Buddhist man had insulted Islam, police and residents said. REUTERS/Stringer (BANGLADESH - Tags: RELIGION CIVIL UNREST POLITICS)
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর এবং শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেনছবি: Reuters

রবিবার ভোরে পুলিশ, ব়্যাব এবং বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঐ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে৷ সুনীল বড়ুয়া অভিযোগ করেন, মিছিলের সময় পুলিশ থাকলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি৷

তিনি বলেন, এই হামলায় এক রাতে কয়েকশ’ বৌদ্ধ পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে বসে গেছেন৷ তাদের থাকা খাওয়ার জন্য এখনেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷

এদিকে, রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর এবং শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘটনার জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং একটি মৌলবাদী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন৷ তিনি হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ এছাড়া কক্সবাজারে নাইখংছড়ি এলাকা থেকে হামলায় জড়িত সন্দেহে ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে৷ পুলিশ জানায়, তারা হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার পথে আটক হয়৷

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নেতা সুশীল বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে জানান, এখনও পুরো কক্সবাজার এলাকায় বৌদ্ধরা চরম আতঙ্কে আছেন৷

প্রসঙ্গত, এই হামলার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে ঢাকায় সমাবেশ হয়েছে৷ প্রতিবাদ সমাবেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য