1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাফায়েল নাদাল পঞ্চমবার ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতলেন

৭ জুন ২০১০

গত বারো মাসের নানা বিপত্তি এবং আশাভঙ্গ থেকে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে ‘রাফা’ আবার ফিরলেন তাঁর স্বমহিমায়৷ রোলাঁ গারো’র লাল সুড়কি তাঁর বড় প্রিয় সার্ফেস, সেখানেই৷

https://p.dw.com/p/Njcq
ছবি: AP

রবিবার এ'বছরের ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে সুইডেনের রবিন সডারলিং'কে হারালেন ৬-৪, ৬-২ এবং ৬-৪ গেমে৷ জেতবার পর নাদালের আবেগের বাঁধ ভাঙল, চোখে নামল অশ্রু৷ ‘‘স্বস্তি এবং আনন্দ,'' রিপোর্টারদের বললেন রাফা৷ প্যারিসে গতবছর হারার পর এই জিত, প্রস্তুতি ভালো ছিল না, ছিল না মানসিক বল৷ ‘‘আমি ফিরেছি এবং আমি জিতেছি৷ হয়তো আমি এই টুর্নামেন্টটাই বিশেষভাবে জিততে চেয়েছিলাম,'' বললেন নাদাল৷

গতবছর প্যারিসে সডারলিং-এর কাছেই চূড়ান্তভাবে হারেন নাদাল৷ তারপর শুরু হয় বারো মাসের খরা, অবশেষে মন্টে কার্লো'য় যে খরার অবসান ঘটে৷ অথচ আজ সোমবার বিশ্ব বাছাই তালিকার শীর্ষে রজার ফেডারারের জায়গা নেবেন রাফায়েল নাদাল৷ কিন্তু রবিবার সে-বিষয়ে তাঁর কোনো চিন্তাই ছিল না৷ দু'সপ্তাহ ধরে চমৎকার টেনিস খেলেছেন, রোলাঁ গারোর খেতাব জিতেছেন একটিও সেট না হারিয়ে৷ তার ওপর আবার ফাইনাল খেলেছেন স্বদেশের, অর্থাৎ স্পেনের রাণী সোফিয়ার উপস্থিতিতে৷ ‘‘জীবন আমার প্রতি বড়ই সদয়,'' বলেছেন ২৪ বছর বয়সের দার্শনিক নাদাল৷

জন্ম স্পেনের মাইয়োর্কা দ্বীপে৷ কাকা মিগুয়েল আঞ্জেল নাদাল ছিলেন বার্সেলোনা এবং স্পেনের নামকরা ফুটবল খেলোয়াড়৷ নাদাল বস্তুত ডানহাতী, পরে তাঁর কোচের পরামর্শে বাঁহাতী টেনিস খেলোয়াড় হন৷ ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন এই নিয়ে পাঁচবার, উইম্বলডন একবার এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেন একবার৷ পিট স্যাম্প্রাসের পর রজার ফেডারার, এবং তার পর কে, এ'প্রশ্নের জবাব ২০০৬ সাল থেকেই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে৷ ২০০৮ সালের উইম্বলডন ফাইনালে ফেডারারকে হারান নাদাল যে ম্যাচটি জিতে, সেটিকে পণ্ডিতরা চিরকালের সেরা টেনিস ম্যাচ আখ্যা দিয়ে থাকেন৷

তবে গ্রিক হিরো এ্যাকিলিসের যেমন গোড়ালি, তেমনই নাদালের মূল সমস্যা হল তাঁর হাঁটুগুলোকে নিয়ে, এক কথায় টেন্ডনাইটিস৷ এযাবৎ গোটা দু'য়েক টুর্নামেন্ট থেকে ঐ হাঁটুর কারণেই বিদায় নিতে হয়েছে৷ নয়তো আমরা আরো কয়েক বছর রাফার রাজত্বেই বাস করব বলে পণ্ডিতদের ধারণা৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম