রাজবাড়িতে, রাজার হালে
২২ মার্চ ২০১৩বাভারিয়ার কোমব্যার্গ দুর্গটি ১ হাজার বছর আগের৷ ত্রয়োদশ শতক থেকে এই ক্যাসেলের ইতিহাস পাওয়া যাচ্ছে৷ ১৩১৮ সালে ন্যুরেমবার্গের ডিউক ফ্রেডেরিক দুর্গটি কিনে নেন৷ ১৭৯১ সালে এটি আসে প্রুশিয়ান রাজত্বে৷ ১৮ শতকের শুরুতে এই দুর্গটি হয় বাভারিয়ার রাজপ্রাসাদ৷ ১৯২৭ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এটি জাপানের রাজপ্রতিনিধির আবাস ছিল৷ ১৯৬৪ সালের পর একটিকে হোটলে রূপান্তরিত করা হয়৷
দৃষ্টিনন্দন ওই দুর্গের বাতায়নে চোখ রাখলে দেখবেন দিগন্ত বিস্তৃত বন্ধুর এলাকা৷ সবুজে সবুজ৷ কাঠের পাটাতনের এই হোটেলে মধ্যযুগের নানা চিত্রকর্ম মুগ্ধ করবে আপনাকে৷ রাজকীয় সব ব্যাপার৷ থাকবেনও রাজার হালে৷ দুর্গের চারদিকের উঁচু প্রাচীর নিরাপত্তার আমেজ দেবে আপনাকে৷ হোটেলটিতে আধুনিক কক্ষও আছে৷ তবে দুর্গে গিয়ে পুরনো আমলের কক্ষে রাজার মতো থাকার মজাই তো আলাদা৷ হোটেলটিতে কোনো লিফট নেই৷ সুতরাং ওঠা নামার জন্য সিঁড়িই ভরসা৷ হোটেলটির সঙ্গে একটি চিড়িয়াখানাও আছে৷ যেখানে চরে বেড়াচ্ছে হরিণ৷
কোমব্যার্গ ক্যাসল হোটেলে ডাবল বেডরুমের ভাড়া শুরু হয় ৭৯ ইউরো থেকে৷ আর সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৪২ ইউরো থেকে৷ হানিমুন স্যুট আছে, ভাড়া ১৮৫ ইউরো৷ এখানে বিয়ের ব্যবস্থাও আছে৷ আর হোটেল খোলা থাকে সারা বছরই৷ তাই চলে যেতে পারেন যে কোনো সময়৷