রাজনীতিবিদদের মুখে খাবার নিক্ষেপ নতুন নয়
জার্মানির এএফডি পার্টির বিয়াট্রিক্স ফন শ্টর্চই প্রথম রাজনীতিবিদ নয়, যার মুখে ‘পাই’, যা কিনা এক ধরনের নরম খাবার, ছুড়ে মারা হয়েছে৷ পাই ক্ষতিকর কিছু নয়, তার আঘাতে ব্যথাও লাগে না, তবে প্রতিবাদের এক শক্ত উপায় সেটা৷
খাবার প্রতিবাদ
জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট ক্যোলকে লক্ষ্য করে একবার ‘ক্রিম কেক’ ছুঁড়ে মারা হয়েছিল৷ ২০০০ সালে বার্লিনে এক বইয়ের দোকানে একটি বইয়ে স্বাক্ষরের সময় সেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ের চ্যান্সেলর৷ বিরক্ত ক্যোল সে ঘটনার পর চেয়ারে বসেছিলেন, আর বলেছিলেন, ‘‘অনাকাঙ্খিত ব্যক্তিরা আজকাল সর্বত্র আছে মনে হচ্ছে৷’’
ভুল স্বাদ
দ্য হেগে ২০০০ সালে জলবায়ু চুক্তি সংক্রান্ত এক আলোচনায় এসে পাই হামলার শিকার হন তখনকার মার্কিন প্রধান সমঝোতাকারী ফ্রাংক ই. লয়৷ এক ক্ষুব্ধ নারী তাঁকে লক্ষ্য করে পাই ছুঁড়ে মারেন৷ তবে তাতে বিচলিত হননি ই. লয়৷ বরং পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে মজা করেছেন তিনি৷
পাই পছন্দ করেননি গেটস
পাই ছুঁড়ে মেরে কুখ্যাত বেলজিয়ান লেখক, সমালোচক নোয়েল গোডিন ১৯৯৮ সালে বিল গেটসকে লক্ষ্য করে ‘পাই কেক’ নিক্ষেপ করেছিলেন, কেননা গেটসকে মাত্রাতিরিক্ত ‘অহংকারী’ মনে হয়েছিল তাঁর৷ জবাবে গেটস মজা করে বলেছিলেন, পাইটা তেমন ভালো ছিল না৷
নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা
নেদারল্যান্ডসের এক রাজনীতিবিদকে লক্ষ্য করে ২০০২ সালে দু’টি ‘ক্রিম পাই’ ছুঁড়ে মারা হয়েছিল, যেগুলোতে মূত্র মাখানো ছিল৷ ডানপন্থি রাজনীতিবদ পিম ফর্টুন তখন অভিবাসন বিরোধী আন্দোলনের নের্তৃত্ব দিচ্ছিলেন৷ সেই ঘটনার কয়েকসপ্তাহ পর এক প্রাণী অধিকার প্রচারক তাঁকে হত্যা করে৷
হামলার শিকার গ্যুটেনব্যার্গ
ইন্টারনেটে স্বাধীনতা নিয়ে বার্লিনের এক বারে এক সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করছিলেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-টেয়োডোর সু গ্যুটেনব্যার্গ৷ হঠাৎ সেখানে হাজির হন ইন্টারনেটে পরিচিত ‘অ্যানিনিমাসের’ মাস্ক পরা এক ব্যক্তি, মুহূর্তের মধ্যে গ্যুটেনব্যার্গের দিকে ছুঁড়ে মারেন একটা ‘ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক’৷ ২০১২ সালের সেই ঘটনা অবশ্য হালকাভাবেই নিয়েছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ৷
‘সিলি স্ট্যান্ট’
২০০২ সালে লন্ডনে কৃষকদের ইউনিয়নের এক সম্মেলন চলাকালে ব্রিটেনের কৃষিমন্ত্রী নিক ব্রাউনের উদ্দেশ্যে চকলেট ছুঁড়ে মারেন এক প্রতিবাদকারী৷ এই রাজনীতিবদও পরবর্তীতে বিষয়টিকে ‘সিলি স্ট্যান্ট’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন৷