1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোহিনী আলম

আরাফাতুল ইসলাম১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি ভিন্ন ধাঁচে গেয়ে ব্যাপক আলোচনা, বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন সোহিনী আলম৷ লন্ডনভিত্তিক এই শিল্পী সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে এই বিষয়ে জানিয়েছেন তাঁর অবস্থান৷

https://p.dw.com/p/17egN
ছবি: Sohini Alam

জন্ম যুক্তরাজ্যে, তবে বেড়ে উঠেছেন লন্ডন এবং ঢাকায়৷ লেখাপড়া করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷ এই বাঙালি কন্যা ছোটবেলায় গান শিখেছেন মা হিরন আলম এবং খালা জান্নাত আরা ও ফেরদৌস আরার কাছে৷ সংগীত পরিবারে বেড়ে ওঠা এই মেয়ে এখন মোটামুটি নামকরা সংগীত শিল্পী৷ তাঁর নাম সোহিনী আলম৷ ফিউশন ব্যান্ড ক্ষ এবং লক্ষ্মী ট্যারার মূল গায়িকা তিনি৷

ব্যতিক্রমী সোহিনী

সচরাচর যেটা দেখা যায়, প্রবাসে জন্ম নেওয়া বা বেড়ে ওঠা বাঙালিরা বাংলা ভাষার প্রতি খুব একটা অনুরক্ত হননা৷ সোহিনী এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম৷ তিনি মূলত বাংলা ভাষায় গান করেন৷ এই বিষয়ে সোহিনী বলেন, ‘‘আমার বয়স যখন নয়, তখন আমি লন্ডন ছেড়ে বাংলাদেশে যাই৷ সেখানে সাড়ে সাত বছর থাকি৷ সে সময়টা আমি আমার নানাবাড়িতে থাকি৷ আর বাংলা গান একদম ছোটবেলা থেকেই আমি গাই৷ প্রথমে মায়ের কাছে শিখেছি, তারপর নানাবাড়িতে খালাদের কাছে৷''

[No title]

জাতীয় সংগীত বিতর্ক

সম্প্রতি সোহিনীর গাওয়া একটি গান নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক, আলোচনার ঝড় উঠেছে৷ কিছু শিল্পী অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘বিকৃত' করেছেন তিনি৷ এমনকি এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহী মামলা করারও দাবি তোলেন জনাকয়েক সংগীত শিল্পী, যা প্রকাশ হয়েছে বাংলাদেশে একাধিক গণমাধ্যমে৷

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সোহিনীকে সমর্থন জানিয়েছেন৷ তারা তাঁর গানের মধ্যে কোন ‘বিকৃতি' খুঁজে পাননি৷ বরং ভিন্নধাঁচে গাওয়া গানটি প্রশংসা কুড়িয়েছে অনেকের৷ এই জাতীয় সংগীত বিতর্ক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোহিনী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা আমাদের গানটি যখন প্রচার করেছি, তখন কোথাও বলিনি, এটা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত৷ আমরা পরিবেশনের সময় বরাবরই বলে এসেছি, আমরা রবিঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা' পরিবেশন করছি৷ এটা এ কারণে বলা যে, ক্ষ হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক ব্যান্ড৷ আমরা লন্ডনভিত্তিক ব্যান্ড৷ অতএব কোন বিশেষ একটা জাতির জন্য শুধু গান করি, এমন নয়৷ গান এমনিতেই এমন একটা জিনিস, যেটা না মানে জাতি, না মানে ধর্ম, না মানে খিদা, না মানে কিছু৷''

প্রতিভাবান এই শিল্পী বলেন, ‘‘কথার কথা ধরুন, যারা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি, তাদের কাছেও এই গানটি অত্যন্ত প্রিয়৷ এবং যারা বাঙালি না, তাদের কাছেও আমাদের ইচ্ছা, যে আমরা পৌঁছে দেব বাংলা গানকে৷ এখন বাংলা গান শুনতে হলে বা পছন্দ করতে হলে, বাংলা বলতে হবে বা বুঝতে হবে এমনতো কোন কথা নেই৷''

ক্ষ-এর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানটি গাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যান্ড দল ক্ষ-এর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্যও কাজে লাগানো হয়েছে৷ আর তাহচ্ছে বাদ্যযন্ত্রের প্রাধান্য৷ গানের কথাগুলো তুলে ধারা যায় বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমেও৷ সোহিনী এই বিষয়ে বলেন,‘‘ক্ষ মনে করে গান শুধু যে গাইছে, মানে ভোকাল সে শুধু নয়, যেসব যন্ত্র বাজানো হচ্ছে তাও গুরুত্বপূর্ণ৷ আমাদের উপমহাদেশে সাধারনত দেখা যায়, গানে ভোকালিস্টই বিশেষ প্রাধান্য পায়৷ তবে আমাদের গানটি কেউ যদি শোনে, তাহলে লক্ষ্য করবে, আসলে কিন্তু গানটি প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে৷ কিন্তু শুরু হয়েছে গিটার দিয়ে৷ যেহেতু আমি গাওয়া শুরু করেছি, ‘কি শোভা গো, কি ছায়া গো' থেকে, সেহেতু সেটা নিয়ে বিতর্ক৷ কিন্তু যদি একটা মানুষ গিটারটাকেও গুরুত্ব দেয়, তাহলে সেভাবে চিন্তা করলে তো গানটি প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে৷''

Sohini Alam
ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে সোহিনীছবি: Sohini Alam

সোহিনী জানালেন, গান নিয়ে এই বিতর্কের কারণে অনেক বিব্রতকর অবস্থার মধ্যেও পড়েছেন তিনি৷ কিছু জায়গায় তাঁর এমন সব বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে, যেগুলো আসলে তিনি কখনোই বলেননি৷ এধরনের বিতর্ক তাঁকে কিছুটা হলেও আহত করেছে, ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথোপকথনে ফুটে উঠেছে তা৷

তবে তিনি এখন ব্যস্ত রিহার্সাল নিয়ে৷ বাংলা ছাড়াও ইংরেজি, স্প্যানিশ, হিন্দি ভাষায় গান করেন তিনি৷ প্রবাসে একাধিক ব্যান্ড দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে সোহিনীর৷ বর্তমানে গানের অ্যালবাম বের করা নিয়ে ব্যস্ত আছেন এই শিল্পী৷ ক্ষ'র প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হতে পারে এ বছরই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য