1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রঙচঙে ডারউইনের কোলাব্যাঙ

কাটিয়া ড্যোনে/এসি২৭ মে ২০১৬

মেক্সিকান বারোয়িং টোড অথবা ডারউইন্স ফ্রগ৷ ছোট্ট কিন্তু ভারি রঙচঙে একটি ব্যাঙ৷ খুবই দুষ্প্রাপ্য, খুবই বিরল৷ সেই ব্যাঙের খোঁজে যেতে হবে চিলির কনসেপসিওনে, উইলো-উইলো রিজার্ভে৷

https://p.dw.com/p/1Iv4p
Lemurenfrosch Hylomantis lemur
ছবি: Imago/imagebroker

কনসেপসিওন থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এখনও মেক্সিকান বারোইং টোড নামের একটি রঙচঙে ব্যাঙ দেখতে পাওয়া যায়৷ উইলো-উইলো রিজার্ভ হলো একটি হোটেল রিসর্ট; এদের লক্ষ্য হলো পরিবেশবান্ধব পর্যটন৷ সংরক্ষিত এলাকাটি আয়তনে প্রায় ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার৷ এখানকার প্রধান জীববিজ্ঞানী হলেন ভেরোনিকা তোলেদো৷ আজ তিনি বারোয়িং টোড-দের খোঁজ করছেন৷

উইলো-উইলো রিজার্ভের জীববিজ্ঞানী ভেরোনিকা তোলেদো বলেন, ‘‘আমি এই ব্যাঙ খুব ভালোবাসি৷ প্রথমবার দেখেই এই বারোয়িং টোডের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম৷ আমি যে তাকে সাহায্য করতে পারি, বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারি, এটা ভেবেই আমার ভালো লেগেছিল৷''

ডারউইনের কোলাব্যাঙ যেখানে থাকে

ব্যাঙের চর্মরোগ

ভেরোনিকা বছরে চারবার করে এই ব্যাঙের খোঁজে আসেন৷ ব্যাঙগুলো আবার একটি দুরারোগ্য চর্মরোগে আক্রান্ত হয়৷ ভেরোনিকা জানালেন, ‘‘কুইট্রিড ফাঙ্গাস নামের একটি স্কিন ফাঙ্গাস থেকে পৃথিবীর সব উভয়চর প্রাণী বিপন্ন৷ কাজেই আমরা বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে ব্যাঙেদের বাসস্থানের কাছাকাছি আসি৷ ব্যাঙগুলোকে শুধুমাত্র দস্তানা পরা অবস্থায় হাতে নিই, কেননা আমরা জানি না, কোন ব্যাঙগুলোর ঐ রোগ হয়েছে অথবা হয়নি৷ প্রত্যেকটি ব্যাঙ হাতে ধরার জন্য একটা নতুন দস্তানা ব্যবহার করি৷''

কুইট্রিড ফাঙ্গাসের দরুণ সারা পৃথিবীতে উভয়চর প্রাণীর সংখ্যা কমে আসছে৷ ডারউইন্স ফ্রগ নামে পরিচিত ব্যাঙটিরও তাই দশা৷ উইলো-উইলো রিজার্ভে ভেরোনিকা এ পর্যন্ত দু'টি ব্যাঙ খুঁজে পেয়েছেন,যাদের গায়ে ঐ ফাঙ্গাস হয়েছে৷ নয়ত বাদবাকি ব্যাঙেরা ঠিকই আছে, বলে তাঁর ধারণা৷

ব্যাঙ দিয়ে যায় চেনা

একবার খুঁজে পেলে, বারোয়িং টোড-কে শনাক্ত করা অথবা পরীক্ষা করা খুব শক্ত নয়৷ বিপদ দেখলে এই ব্যাঙেরা চুপচাপ পড়ে থাকে৷ পেটের সাদা-কালো নকশা প্রত্যেক ব্যাঙের ক্ষেত্রে আলাদা৷ ভেরোনিকা জানালেন, ‘‘পেটের নকশা দেখে আমি বুঝতে পারি, আমি এই ব্যাঙটাকে আগে পরীক্ষা করেছি কিনা৷ দেখতে পারি, ব্যাঙটা বেড়েছে কিনা, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গেছে কিনা, তার রং বদলেছে কিনা, পেটে ডিম এসেছে কিনা৷''

উইলো-উইলো রিজার্ভের মূলমন্ত্র হলো, কোনো জীবজন্তুকে তার বাসস্থান থেকে উৎখাত করলে চলবে না৷ অল্প কিছু পরীক্ষা করে ব্যাঙটিকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয় ঠিক যেখানে তাকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে৷ অতি নিরীহ এই ব্যাঙগুলির পক্ষে এই সংরক্ষিত অরণ্য হলো স্বর্গ! কনসেপসিওনের ব্রিডিং স্টেশন থেকে শিঘ্রই কয়েক ডজন ব্যাঙকে সুদূর ইউরোপে পাঠানো হবে৷

কনসেপসিওন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসক কার্লোস বারিয়েন্তোস দোনোসো জানালেন, ‘‘প্রাণীগুলি দেশের বাইরে বংশবৃদ্ধি করবে৷ তার ফলে আমরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারব যে, এখানে ব্যাঙগুলোর অস্তিত্ব বিপন্ন হলে, ইউরোপের চিড়িয়াখানায় তারা বেঁচে থাকবে৷''

বারোয়িং টোড-রা যদি তাদের সুদীর্ঘ যাত্রার পর ভিয়েনা, চেস্টার, লাইপজিগ, ডুসেলডর্ফ বা বার্লিনের চিড়িয়াখানায় সস্থ অবস্থায় পৌঁছাতে পারে, তাহলে তারা তাদের নতুন আবাসে ভালোই থাকবে, বলে ধরে নেওয়া যায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান