রং লেগেছে বসন্তের
বসন্তের শেষ চিহ্নিত হয় দোল বা হোলি উদযাপনে৷ রঙের এই উৎসবের পৌরাণিক প্রেক্ষিত থাকলেও, ধর্মাচরণ নয়, আনন্দই মুখ্য হয়ে ওঠে দোলে৷ সব বয়সের মানুষ মেতে ওঠে রং খেলায়৷
হাসি আর মজা
রঙের উৎসব মানে আসলে হাসিখুশির রং, জীবনের রং৷ রঙের দোকানের পশরাতেও সেই হাসির ছোঁয়া৷
সবাই গেছে দোলে
শুনশান শহরের রাস্তাঘাট, গাড়িঘোড়া প্রায় নেই৷ দোকানপাটও সব বন্ধ৷ একমাত্র কিছু সাময়িক রঙের দোকান, শেষ মুহূর্তের খদ্দেরের আশায়৷
দোকানিরাও ফুর্তিতে
ক্রেতা, বিক্রেতা, দু’পক্ষই উৎসবের মেজাজে৷ যেটুকু রং বাকি থাকবে, নিজেরা নিয়ে মেতে উঠবে দোলখেলায়৷
হরেক রকম রং
আগে আবির হতো হয় লাল, নয় সবুজ৷ এখন এত রকমের রং তাদের, যে নাম খুঁজে পাওয়াও ভার৷ বোঝাই যায়, বাড়তি ব্যবসায়িক উদ্যোগ আছে এর পিছনে৷
ভেষজ রং
আর চালু হয়েছে রাসায়নিকমুক্ত ভেষজ রং এবং আবির৷ এতে ত্বকের কোনো ক্ষতি হয় না, পরিবেশও দূষণমুক্ত থাকে৷
বাহারি পিচকারি
আগে পিচকারি ছিল অনেক সাদামাটা, সোজাসাপ্টা৷ এখনও প্রযুক্তির বিরাট কোনো হেরফের হয়নি ঠিকই, কিন্তু বাহারে তারা তাক লাগানো৷
পিস্তল পিচকারি
এ ধরনের বন্দুকের আকৃতির পিচকারির বিরাট বিক্রি৷ বলা বাহুল্য, খুদেরাই এ সব পিচকারির সবথেকে বড় খদ্দের৷
যেমন খুশি সাজো
দোলের সাজও এখন বেশ জনপ্রিয়৷ নকশাদার টুপি, ভয় দেখানো মুখোশ, অথবা ইওরোপের ফুটবল মাঠের দর্শকদের মাথায়, বা কার্নিভালে যেরকম রঙিন চুল দেখা যায়, সেও এখন দোলের সাজ৷
কেউ রাগ করে না
দোল এমনই এক উৎসব, যে ফুর্তিবিমুখ, ঘোর সিরিয়াস লোকজনকে জোর করে রং লাগিয়ে দিলেও তারা শেষ পর্যন্ত রাগ করে থাকতে পারে না৷ আজকাল স্কুল কলেজে, অফিস কাছারিতেও হয় আবির খেলা৷
বছরশেষের শুরু
দোলের দিনেই শহরের রাস্তায় প্রথম নজরে পড়ল সন্ন্যাসীর ভেক ধরা এই গাজনের ভিক্ষুকদের৷ এরা আসা মানেই এগিয়ে আসছে চৈত্র সংক্রান্তি, বাংলা বছরের শেষ৷