যে সেরা খেলোয়াড়রা কখনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জেতেনি
কোপা অ্যামেরিকার ফাইনালে হারার পর লিওনেল মেসির অবসরের মানে হচ্ছে আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট আর জেতা হবে না তাঁর৷ তবে বার্সেলোনার এই তারকা এক নন৷ বিশ্বের আরো অনেক নামি খেলোয়াড়ের আছে এ আক্ষেপ৷
লিওনেল মেসি
এগারো বছর আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পদার্পণের পর থেকেই আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের মধ্যমণি লিওনেল মেসি৷ তবে ক্লাব ফুটবলে অসামান্য অবদান রাখা এই তারকা নিজের দেশের হয়ে তেমন কোনো সাফল্যই দেখাতে পারেননি৷ তিনি দলে থাকা অবস্থাতেও আর্জেন্টিনা কোপা অ্যামেরিকা কাপ হেরেছে তিনবার৷ এছাড়া ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষেও হেরে যায় দেশটি৷
ইয়োহান ক্রইফ
মেসির মতোই মন্দভাগ্যের অধিকারী ছিলেন ইয়োহান ক্রইফ৷ টানা ১৯৭৪ এবং ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল অবধি পৌঁছালেও শিরোপা জিততে পারেনি তাঁর দেশ৷ অথচ ডাচ এই তারকাকে অনেকেই বিবেচনা করতেন সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে৷ এজ্যাক্স এবং এফসি বার্সেলোনার হয়ে মাঠে অনেক সফল ছিলেন তিনি৷
জিকো
জিকো তিনবার দক্ষিণ অ্যামেরিকার ‘প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার’, এমনকি একবার ‘ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার’ হলেও, তিনি দলে থাকতে ব্রাজিল একবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পার হতে পারেনি৷ অথচ দলের হয়ে ৮৮বার মাঠে নেমে ৬৬টি গোল করেছেন জিকো৷
রাউল
রাউল স্প্যানিশ দলের অধিনায়ক ছিলেন৷ নিজের দেশের হয়ে ১০২ বার মাঠে নেমে ৪৪টি গোল করেছেন রাউল৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর দল বড় ট্রফি জিতেছে রাউল অবসর নেওয়ার দু’বছর পর৷ ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন তিনি৷ এর ঠিক দু’বছর পর ইউরোপীয়ান কাপ জেতে স্পেন, সেটা ছিল ১৯৬৪ সালের পর প্রথম শিরোপা জয়৷
ফেরেঙ্ক পুশকাস
পঞ্চাশের দশকে হাঙ্গেরির ফুটবল টিমকে বিবেচনা করা হতো অন্যতম সেরা দল হিসেবে৷ ফেরেঙ্ক পুশকাস তখন সেদলের মধ্যমণি৷ টানা চারবছর সেদল কেনা ম্যাচ হারেনি৷ আক্ষেপের ব্যাপার হলো, ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে যায় হাঙ্গেরীয়রা, ফলে পুশকাসের কাছে বিশ্বকাপ অধরাই থেকে যায়৷
জর্জ বেস্ট
তারা একসময় বলতো: ‘ম্যারাডোনা গুড, পেলে বেটার, জর্জ বেস্ট৷’ নর্দান আয়ারল্যান্ডের এই ফুটবলারকে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের অন্যতম মেধাবী ফুটবলার হিসেবে৷ ১৯৬৮ সালে তাঁর ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে একবার ইউরোপীয়ান কাপ জেতেন তিনি৷ তবে নিজের দেশের হয়ে বড় কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে পারেননি তিনি৷
ইউসেবিও
১৯৬৬-র বিশ্বকাপে পর্তুগাল তৃতীয় অবস্থান অর্জনের পর অনেকেই ইউসেবিওকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মানতে শুরু করেন৷ তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য৷ নিজের ক্লাবের হয়ে অনেক শিরোপা জিতলেও, দেশের হয়ে তৃতীয় অবস্থান ছাড়া আর কোনো সাফল্য পাননি তিনি৷