1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ড্রোন ওড়ে ঈগল পাখির সাথে!

২৫ জানুয়ারি ২০১৭

ড্রোনের ব্যবহার আজ সর্বত্র৷ পুলিশ ড্রোন ব্যবহার করে, দমকল ড্রোন ব্যবহার করে, ড্রোনে প্যাকেট পাঠানো হয়৷ কিন্তু ড্রোনে ক্যামেরা বসিয়ে বাজপাখির আকাশে শিকার ধরার ছবি তোলার চেষ্টা বোধহয় পল ক্লিমার-এর আগে কেউ করেননি৷

https://p.dw.com/p/2WLcS
ড্রোন
ড্রোনছবি: DW/H. Sirat

‘স্কাই' নাম হলেও, জীবটি আসলে একটা বড়সড় বাজপাখি, গোল্ডেন ঈগল৷ স্কাই-এর ট্রেনার হলেন পল ক্লিমা, পেশায় ফ্যালকনার৷ ট্রেনিং গ্রাউন্ড হলো আল্পস পর্বতমালার সুউচ্চ উপত্যকা৷ বাজপাখি নিয়ে একটা কাহিনিচিত্র তৈরি করার কথা হচ্ছে, স্কাই হবে তার নায়ক৷

জন্তু-জানোয়ারের ছবি তোলার নিত্য নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে৷ বিশেষ করে উড়ন্ত অবস্থায় পাখিদের ছবি তোলা খুব কঠিন৷ যে কারণে স্কাই-এর মতো বড় ঈগলপাখিদের আকাশে শিকার ধরার ছবি আজ অবধি কেউ তুলতে পারেনি৷

শৈলা নামের শিকরে বাজ

পল ক্লিমা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে ঠিক সেটাই করতে চান৷ তবে আগে পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখা দরকার৷ সেজন্য আছে শৈলা নামের এক সেকার ফ্যালকন৷ এই বিরল ও বহুমূল্য শিকরে বাজ খুব তাড়াতাড়ি শিখতে পারে, এদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও সহজ৷ কিন্তু তার বিদ্যুৎগতিতে শিকার ধরার ছবি ক্যামেরায় তোলা আরো শক্ত৷ বিশেষ করে ঝাঁপ খাবার সময় শিকরে বাজদের গতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার ছাড়াতে পারে৷

হেলিকপ্টার থেকে সেই ছবি তোলার ব্যবস্থা করতে গিয়ে পল ক্লিমা ব্যর্থ হয়েছেন, কেননা হেলিকপ্টারের পাখার আওয়াজে বাজপাখিরা চঞ্চল হয়ে পড়ে৷ তাই পল-কে অন্য ব্যবস্থা দেখতে হয়েছে৷ পুলিশ অথবা দমকল যেমন ছোট ছোট ড্রোন ব্যবহার করে, সেভাবে কি কাছ থেকে বাজপাখিদের ছবি তোলা যায় না?

মাটি থেকে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে ড্রোনটাকে খুব ভালোভাবে চালানো যায়, এমনকি জোরালো বাতাস থাকলেও৷ ক্যামেরা নিজে থেকেই নড়াচড়া সামলে নেয়৷ কিন্তু শৈলা কি এই আট রোটরের মাকড়শা দেখে ভয় পাবে না? না, শৈলা বিশেষ নার্ভাস হয়নি৷ কিন্তু তা-তেই কাজ হয়ে গেল না, কেননা কাছ থেকে শৈলার শিকার ধরার ছবি তোলার মতো গতিবেগ ড্রোনটার নেই৷

নাবিক ছাড়াই চলবে জাহাজ

ড্রোনের চোখে শৈলার শিকার ধরা

সেজন্য আকাশেই টোপ রাখতে হবে একটা বেলুন থেকে ঝুলিয়ে, যা-তে শৈলা তার দুর্ধর্ষ গতিতে ঝাঁপ না খেয়ে, কাছ থেকে শিকার ধরে৷ বেলুনের মধ্যে একটি জিপিএস ট্রান্সমিটার রাখা আছে, যার সিগনাল সরাসরি ড্রোনে যাচ্ছে৷ ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই সব কোঅর্ডিনেট ফলো করে চলেছে৷

ড্রোন এবার তার পজিশনে, লক্ষ্য রয়েছে টোপটার উপর৷ শৈলা পাশ দিয়ে উড়ে গেল! পলও নাছোড়বান্দা৷ আরেকটা চেষ্টা৷ এবার সত্যিই শিকার – মানে টোপটাকে ধরেছে শৈলা৷

কিন্তু এই পাহাড়ি এলাকায় বাজপাখির শিকার ধরার ছবি তুলতে হলে ড্রোনটিকে আরো অনেকক্ষণ উড়তে হবে৷ কাজেই স্বপ্ন সফল করতে ফ্যালকনার পল ক্লিমারকে এখনও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য