1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের পালটা জবাব

৯ অক্টোবর ২০১৭

ভিসা প্রদান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া সংকট শিগগিরই কেটে যাবে বলে মনে করছেন তুরস্কের বিচারমন্ত্রী আব্দুল্লাহমিত গুল৷ সোমবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই আশা প্রকাশ করেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2lVMK
ছবি: Getty Images/AFP/O. Kose

গুল বলেন, ‘‘আমি আশা করি তাদের দূতাবাসের কর্মচারীকে গ্রেফতারের কারণে গত সপ্তাহ থেকে তুর্কি নাগরিকদের ভিসা দেয়া বন্ধের যে সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে তা তারা আবারও বিবেচনা করবে৷ এই মামলাটি তুরস্কের বিচার বিভাগের ব্যাপার ছিল৷''

এর আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মার্কিন দূতাবাসের এক স্টাফকে গ্রেফতারের ঘটনায় অভিবাসী নন এমন সবার ভিসা দেয়া স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এর প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কও মার্কিনিদের ভিসা দেয়া বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছিল৷

তুরস্কের মার্কিন দূতাবাস রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, আঙ্কারা তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং ভিসা নিয়া তুরস্কের পালটা হুমকির কারণেই, তারা ভিসা দেয়া অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে৷

মার্কিন দূতাবাস বলছে, ‘‘মার্কিন মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে তুরস্ক সরকারের সাম্প্রতিক অবস্থানই মার্কিন সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে৷''

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের এই সময়ে দূতাবাস পরিদর্শনকারী ও কনস্যুলেটদের সংখ্যা কমাতে তুরস্কের মার্কিন মিশনে অভিবাসী নন এমন সবার ভিসা দেয়া স্থগিত করা হয়েছে৷''

এই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরই ওয়াশিংটনে তুর্কি দূতাবাস পালটা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মার্কিন নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা, ই-ভিসা এবং সীমান্ত ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করার কথা বলে৷

তুর্কি দূতাবাস জানায়, ‘‘মিশনের সুযোগ সুবিধা ও কর্মী নিরাপত্তা নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়াতেই মার্কিনিদের ব্যাপারে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি আমরা৷''

মার্কিন কনস্যুলেটে তুর্কি নাগরিক গ্রেপ্তার

গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের মার্কিন দূতাবাসে কাজ করা এক তুর্কি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তুর্কি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মেতিন তপুজ নামে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আছে৷ এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে ‘তুরস্কের সরকার উৎখাত ও সংবিধান বানচাল করার চেষ্টার অভিযোগও পাওয়া গেছে' বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে৷

তুরস্ক সরকার বিশ্বাস করে, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পেছনে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক তুর্কি রাজনীতিবিদ গুলেনের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন এই ব্যক্তি৷

আঙ্কারার মার্কিন দূতাবাস গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘‘গ্রেপ্তারের এই ঘটনায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷ কোনো ভিত্তি ছাড়াই তাদের কনস্যুলেটের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷'' 

চাপ কমানো

মার্কিন কনস্যুলেটে তুর্কি নাগরিকের গ্রেপ্তারের ঘটনা এই বছর দ্বিতীয় বারের মতো ঘটলো৷ তুর্কি সরকার সিরিয়ার কুর্দি মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী সংগঠন বলে বিবেচনা করে৷ আর তাদের ওপর মার্কিন সমর্থন থাকায় এই দুই মিত্রের ব্যাপারেই কঠোর হয়ে ওঠে তুরস্ক৷

গত মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান গ্রেপ্তার হওয়া গুলেনের সমর্থক ব্রুনসনেকে দিয়ে গুলেনকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ এর্দোয়ানের সমালোচকরা অবশ্য একে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ব্ল্যাকমেইল' করার চেষ্টা বলে অভিযোগে করেছে৷

এসব ঘটনার পরিণতি হিসেবে দুই দেশের কনস্যুলেট সেবার হার অনেক কমে গেছে৷ এর ফলে ন্যাটোর মিত্রদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এছাড়া ব্যবসা, পর্যটন, চিকিৎসা, ছাত্র বিনিময়, পর্যটক, ক্রু সদস্য, মিডিয়া ও সাংবাদিক, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল ভিসার ওপরও প্রভাব পড়তে পারে৷

এএম/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য