1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রে সব শীর্ষনেতাকে ছাড়িয়ে আলোচনায় আহমাদিনেজাদ

২০ সেপ্টেম্বর ২০১০

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষ্যে সারা বিশ্বের শীর্ষ নেতারা জড়ো হয়েছেন নিউইয়র্কে৷ তবে গণমাধ্যমের আলোচনায় ঘুরে ফিরে আসছে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের নাম৷

https://p.dw.com/p/PGFP
সব সময় আলোচনায় আহমাদিনেজাদছবি: AP

আহমাদিনেজাদ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন রবিবার৷ এরই মধ্যে কথা বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের সঙ্গে৷ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কমপক্ষে দুটি মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে৷ সেখানে কড়া সমালোচনা করেছেন ইরান নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের করা মন্তব্যের৷ এবিসি নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ক্লিন্টন ইরানের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিশ্বের দায়িত্বশীল নেতাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ এছাড়া ইরানের সরকারকে তিনি সামরিক সরকারের সঙ্গে তুলনা করার চেষ্টা করেন৷ ক্লিন্টনের এ ধরণের মন্তব্যের ব্যাপারে আহমাদিনেজাদ বলেন, ক্লিন্টন একজন সম্মানিত নারী৷ কিন্তু ইরান নিয়ে কথা বলার আগে তাঁর উচিত প্রকৃত তথ্য ভালভাবে জেনে নেয়া৷ এছাড়া এপি বার্তা সংস্থাকে তিনি বলেন, ইরান বিশ্বে একটি বড় ভূমিকা রাখছে এটা যুক্তরাষ্ট্রের মেনে নেয়া উচিত৷

এদিকে বান কি-মুনের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে আহমাদিনেজাদ কী বলেছেন সেটা জানা যায়নি৷ তবে বান কি-মুন তাঁকে কী বলেছেন সেটা জানা গেছে বার্তা সংস্থাগুলোর খবর থেকে৷ মূলত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে যে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে সে বিষয়গুলোই আহমাদিনেজাদকে মনে করিয়ে দেন জাতিসংঘের মহাসচিব৷ আর পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া আলোচনা ইরান আবার শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বান কি-মুন৷ তবে এপি'র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আহমাদিনেজাদ আবারও বলেছেন যে তাদের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য বোমা তৈরি নয়৷

পাকিস্তানের বন্যা নিয়ে সম্মেলন

প্রায় ২৫টি দেশের মন্ত্রী সম্মেলনে মিলিত হন দুর্যোগ বিষয়ক আলোচনায়৷ বান কি-মুন এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন৷ তিনি জরুরি ভিত্তিতে পাকিস্তানের বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান৷ ব্রিটেন তার সাহায্যের পরিমাণ দ্বিগুন করার ঘোষণা দেয়৷ আর জার্মানি আরও এক কোটি ডলার দেবে বলে জানায়৷ এর আগে জার্মানি দিয়েছিল ৫ কোটি ডলার৷ হিলারি ক্লিন্টন বলেন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত দিয়েছে ৩৪ কোটি ডলার৷ আর ইইউ দিয়েছে সাড়ে ৩১ কোটি ডলার৷ সম্মেলনে পাকিস্তানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে পরিমাণ খাবার ও পানির দরকার তার মাত্র ২০ ভাগের যোগান রয়েছে পাকিস্তানে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই