1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্যারিস চুক্তি যথেষ্ট নয়: ম্যার্কেল

১৫ নভেম্বর ২০১৭

কপ২৩ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ ম্যার্কেল বলেছেন, কার্বন নিঃসরণ রোধের উদ্যোগে প্যারিস চুক্তি সূচনা মাত্র, এ উদ্যোগ পর্যাপ্ত নয়৷

https://p.dw.com/p/2neNf
UN-Klimakonferenz 2017 in Bonn | Espinosa & Macron Bainimarama & Merkel & Guterres
ছবি: Reuters/W. Rattay

জার্মানির বন শহরে চলমান কপ২৩-এ বুধবার থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে৷ এর আগে গত ন’দিনে বিশ্বের সব দেশের জলবায়ু আলোচকরা প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের রুলবুক তৈরি নিয়ে কথা বলেছেন৷ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সব আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে৷ শুক্রবার এই সম্মেলন শেষ হচ্ছে৷

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জুনে প্যারিস চুক্তি থেকে তাঁর দেশকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন৷ তবে কপ২৩-এ দেশটির একটি ছোট প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে৷ সোমবার হোয়াইট হাউসের উদ্যোগে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো নিয়ে একটি অনুষ্ঠান হয়েছে৷ অথচ প্যারিস চুক্তিতে কার্বন নির্গমন কমাতে দেশগুলোকে এই জ্বালানির ব্যবহার কমাতে বলা হয়েছে৷

জীবাশ্ম জ্বালানির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ঐ কর্মসূচি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জলবায়ু সম্মেলনে আসা অনেক আলোচক৷ এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সংগঠন ‘ইউনিয়ন অফ কনসার্নড সায়েন্টিস্ট'-এর আলডেন মায়ার এএফপিকে বলেন, ‘‘জলবায়ু আলোচনা প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের আচরণ করছে তাতে খুশি নন অনেকে৷ দেশটির এ ধরনের ব্যবহার আলোচনা প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তুলছে৷''

বুধবার জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁসহ প্রায় ৩০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান৷ ছিলেন জাতিসংঘের মহসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ৷ এর আগে দরিদ্র দেশগুলোর স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্রিশ্চিয়ান এইড-এর মোহামেদ আডৌ বলেন, ‘‘বুধবার বিভিন্ন দেশের যে মন্ত্রীরা বক্তব্য দেবেন তাঁদের বড় কাজ করতে হবে৷ কারণ এতদিন ধরে এই সম্মেলনের আলোচনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি৷ মনে হচ্ছে আলোচকরা এই সম্মেলনকে প্যাসিফিকে ছুটি কাটানোর মতো মনে করছেন৷''

অক্সফাম-এর আর্মেলে লে কমটে বলেন, ম্যার্কেল ও মাক্রোঁকে দেখাতে হবে যে তাঁরা প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিতে চান৷

অবশ্য জার্মান চ্যান্সেলর নিজেই সংকটে আছেন৷ কারণ জার্মানির মোট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ আসে কয়লা থেকে৷ আর ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৪০ শতাংশ কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা জার্মানি নির্ধারণ করেছিল তা বাস্তবায়ন করতে পারবে না দেশটি৷

ওদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক জি সেনহুয়া বলেছেন, কার্বন নির্গমন কমানোর প্রকল্পের জন্য অর্থ পেতে তাঁর দেশ এখনই কার্বন কর ও কার্বন ফিউচার (কম কার্বন নির্গমনকারী শিল্প ব্যবস্থা) চালুর চিন্তা করছে না৷ ‘‘আমরা এখনই কার্বন ফিউচার শুরু করছি না, কারণ অভিজ্ঞতা ছাড়া হঠাৎ করে এটি চালু করলে সমস্যা হতে পারে'', বলেন তিনি৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান