1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াতে ইসলামীর ভবিষ্যৎ

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠছে৷ এমন একটি পদক্ষেপ নিলে তার পরিণাম কী হতে পারে?

https://p.dw.com/p/17bCV
ছবি: Strdel/AFP/Getty Images

জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, এই দাবি বহুদিন ধরেই ছিল৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, নিষিদ্ধ করা সম্ভব হবে এর সদস্যরা কোন দলে গিয়ে ভিড়বে এবং তারা কী কর্মকাণ্ড করবে৷ তাঁর মতে, দল হিসেবে নয় বরং দলের ভিতরের কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত৷ যে কোনো দলেরই যদি এমন সাম্প্রদায়িক কাঠামো থাকে, যেখানে শুধু পুরুষদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, যেখানে শীর্ষস্থানীয় নেতা হবার সুযোগ নেই – এসব অনেকাংশে থামানো যেতে পারে৷

সাক্ষাৎকার: ড. ইমতিয়াজ আহমেদ

ড. আহমেদ আরও মনে করেন, এই মুহূর্তে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে জনগণের দাবি রয়েছে বটে, কিন্তু সেটা করা হলে নতুন সমস্যাও দেখা যেতে পারে৷ তাদের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখা দরকার৷ তার উপর প্রত্যাশা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার সংবিধানে পরিবর্তন না করে একটি বিশেষ ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে উল্লিখিত রাখায় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে৷ এখন দল নিষিদ্ধ করার পরেও ধর্মকে ব্যবহার করে অন্য নামে কর্মকাণ্ড চালু রাখলে কোনো লাভ হবে না৷

ড. আহমেদের মতে, একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা বা বর্ণবাদের মতো মৌলবাদী রাজনীতি বন্ধ করা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করলে দীর্ঘমেয়াদী লাভ হবে৷ এটা না করতে পারলে জামায়াতের মতো শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবার সুযোগ পাবে৷ সংবিধান বা নির্বাচন কমিশন বড় আকারের রূপরেখা দিতে পারে, যাতে যে কোনো দলের নিবন্ধনের স্পষ্ট নিয়মাবলী স্থির করা যায়৷ এক্ষেত্রে এক ধরণের দুর্বলতা রয়ে গেছে বলে মনে করেন ড. আহমেদ৷ অনেকে মনে করেন, সংবিধানের মধ্যে বিশেষ একটি ধর্মের মর্যাদা থাকলে এই কাজ করা কঠিন৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য