1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪০ বছর আজ

১৬ ডিসেম্বর ২০১১

নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে চরম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিশ্বের বুকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ৷ আর পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করেছিল ঢাকায়৷ সেই দিনের স্মৃতি আজো অমলিন৷

https://p.dw.com/p/13TPa
বিজয়ের হাসিছবি: AP

১৬ই ডিসেম্বর সকালেই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল আত্মসমর্পণ করবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী৷ তাই ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে আসেন সবশ্রেণির মানুষ৷

পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে৷ যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যান নামে পরিচিত৷এই উদ্যানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন৷ আবার স্বাধীন দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু এখানেই প্রথম ভাষণ দেন৷ সেই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন ঢাকা ক্লাবের তখনকার মালি রাম সেবক৷এখন তিনি অবশ্য সোহরাওয়ার্দি উদ্যানেই কাজ করেন পিডব্লিউডি'র কর্মচারী হিসেবে৷ তিনি সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে দাঁড়িয়ে ডয়চে ভেলেকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করছিল উত্তর দিকের বটগাছের নীচে৷

ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় ২নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম খানের কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দিনটি তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন ৷

Air Vice-marshal (retd) AK Khandakar Bir Uttam is the planning minister of Bangladesh Government.
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারছবি: Samir Kumar Dey

সেই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার ৷ তখন তিনি ছিলেন বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন৷ তিনি জানান, প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানিকে যোগাযোগ করতে না পারায় তাকে নিয়ে ঢাকায় আসেন ভারতীয় মিত্রবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা৷ তারা কোলাকাতা থেকে প্রথমে বিমানে করে আগরতলা যান৷ সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার তেজগাঁ বিমান বন্দরে আসেন৷

বিমানন্দর থেকে তারা সোজা চলে যান সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে৷ তখন রাস্তার দু'ধারে বিজয়োল্লাস শুরু হয়ে গেছে৷ এ কে খন্দকার ডয়চে ভেলেকে জানান, কয়েক মিনিটের অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণ দলিলে মুক্তি এবং মিত্র বাহিনীর পক্ষে সই করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা৷ আর পরাজিত পাকিস্তানের পক্ষে সই করেন ইষ্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি৷

সেই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অস্ত্র সমর্পণ করতে গিয়ে কেঁপে উঠেছিলেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজি৷

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালির বিজয় সূচিত হয়৷ আর এই স্বাধীনতার জন্য বাঙালিকে দিতে হয়েছে চরম মূল্য৷ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি প্রাণ দিয়েছে৷ দু'লাখ মা-বোন হারিয়েছেন সম্ভ্রম৷ তাদের ত্যাগেই উড়ছে বিজয় কেতন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান