মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ বিপ্লব চাইছেন সু চি
১৬ নভেম্বর ২০১০‘বার্মায় গণতন্ত্র আসবেই'
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি সোমবার শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের কথা বলেছেন৷ তিনি দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়েছেন, বার্মায় একদিন গণতন্ত্র আসবেই৷ তবে সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে কতদিন সময় লাগবে তা জানেন না সু চি৷ এছাড়া সোমবার এনএলডি কার্যালয়ে দলের বর্ষীয়ান আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন নোবেল জয়ী এই নেত্রী৷ এই মুহূর্তে এনএলডিকে আবারো গোছাতে ব্যস্ত তিনি৷ তাছাড়া, সকল গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহও দেখিয়েছেন৷
সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা
সু চি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনার যেকোন সুযোগ গ্রহণ করবেন তিনি৷ তবে এজন্য এনএলডি'র পক্ষ থেকে সামরিক প্রধান থান শোয়ের কাছে কোন চিঠি পাঠানো হবে কিনা, তা নিশ্চিত করতে পারেননি সু চি'র মুখপাত্র নিয়ান উইন৷ তিনি বলেন, শুরু থেকে আমরা আলোচনায় বসতে জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছি৷ সু চি সব সময় আলোচনায় বসতে তৈরি ছিলেন৷
নিরাপত্তা
বর্তমানে সু চি'র নিরাপত্তা নিয়ে খানিকটা উদ্বিগ্ন এনএলডি নেতারা৷ কেননা, গত ২১ বছরে সামরিক সরকার একাধিকবার তাকে আটক করেছে, আবার মুক্তিও দিয়েছে৷ এবারও এনএলডি কার্যালয়ের বাইরে ব্যাপক গোয়েন্দা উপস্থিতির কথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থাগুলো৷ তবে, সু চি'র বক্তব্য হচ্ছে, পুনরায় আটকের ভয়ে মোটেই ভিত নন তিনি৷ বরং যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে তাঁর৷
আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক
সু চি'র মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা৷ সোমবার তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামাও সু চি'র মুক্তিকে স্বাগত জানান৷ এছাড়া, তাকে মুক্তি দেওয়ায় মিয়ানমারের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিল হবার ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে৷ ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার