1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে যাবে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল

৩ এপ্রিল ২০১৮

শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলকে সে দেশে যাওয়ার অনুমোদন দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার সরকার৷ সোমবার নিরাপত্তা পরিষদ প্রধান পেরুর গুস্তাভো মেজা-কুয়েদ্রা এ তথ্য জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2vPG2
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

তবে তিনি বলেন, এই সফরে প্রতিনিধি দলটি রাখাইন প্রদেশ পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ তিনি জানান, সফরের বিস্তারিত নিয়ে এখনো কাজ চলছে৷ 

রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে কথিত রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলার পর ২৫ অগাস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন প্রদেশে ব্যাপক অভিযান শুরু করে৷ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান' হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ৷

সেনাবাহিনীর ওই অভিযানের পর থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷

নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সফরের কথা থাকলেও এতদিন দেশটির সরকার অনুমোদন দিচ্ছিল না৷  ১৫ সদস্যের এ প্রতিনিধি দলটির বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের কথা রয়েছে বলে গুস্তাভো জানিয়েছেন৷

রোহিঙ্গা বসতি নিরাপদে সরানোর কাজ শুরু

আসন্ন ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ি ঢাল ও সাগর তীরবর্তী অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া ১ লাখ রোহিঙ্গার বসতি স্থানান্তর শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার৷

পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক সোমবার জানান, মৌসুমী ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস, সাইক্লোন থেকে আশ্রিতদের রক্ষায় আগাম সতর্কতা হিসেবে সরকার তাঁদের জন্য নতুন জায়গা বরাদ্দ করেছে৷

 বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ের ঢালে মাটি সমান করে বসতি স্থাপন করেছে, যা বর্ষা মৌসুমে নিয়ে আসতে পারে মারাত্নক বিপর্যয়৷

ঢাকায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার জোসেফ ত্রিপুরা বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা বসতি যে জায়গায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেটি প্রস্তুতের কাজ মাসখানেক আগেই শুরু হয়েছে৷''

তিনি জানান, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন ইতিমধ্যে সহযোগী সংস্থাগুলোর সহায়তায় ঝুঁকিতে থাকা ৩৬০  রোহিঙ্গা পরিবারকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানেবাসস্থান করে দিয়েছে৷ পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসে গত বছরও বাংলাদেশে সরকারি হিসেবে দেড়শ' লোক মারা গেছেন৷ পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, ‘‘এ ধরনের দুর্যোগ আমাদের কাছে নতুন নয়৷ সরকার এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে৷''

এইচআই/এসিবি (ডিপিএ, এপি)     

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য