1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে গণ আন্দোলনের ভবিষ্যত এখনও অনিশ্চিত

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মিশরে মুবারক বিরোধী আন্দোলন ১৩তম দিনে পা রাখলো৷ জাতিসংঘের মতে এখন পর্যন্ত তিন শত মানুষ মারা গেছে গত কয়েকদিনে৷ এরপরও মিশরীয় জনগণের এই গণ আন্দোলনের ভবিষ্যত এখন তাকিয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে৷

https://p.dw.com/p/10BXL
আর কত দিন চলবে এই প্রতিবাদ?ছবি: AP

যুক্তরাষ্ট্রের ভয় মুসলিম ব্রাদারহুড

মিশরে গত ১২ দিনের এই গণবিক্ষোভে যে শত শত মানুষের প্রাণ গেল তার পরও কিন্তু পরিবর্তনের তেমন কোন জোরালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না সেখানে৷ অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলো এখনও নিয়মতান্ত্রিক পরিবর্তনের কথাই বলছে৷ এর কারণ আসলে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের কথায়৷ তিনি মিশরে নিয়মতান্ত্রিক পরিবর্তনের কথাই পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘‘সেখানে এমন কিছু দল আছে যারা বর্তমান প্রক্রিয়াকে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে৷ আমি মনে করি এই অবস্থাতে ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলাইমানের নেতৃত্বাধীন যে ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে আমাদের সমর্থন করা উচিত৷'' এখানে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী কোন নির্দিষ্ট দলের নাম উল্লেখ না করলেও এটা স্পষ্ট যে তিনি মিশরে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের কথাই বলেছেন৷ অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশংকা রয়েছে যে, গণআন্দোলনের মাধ্যমে মুবারকের পতন হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী দলটি ক্ষমতার আশেপাশে চলে আসতে পারে৷ অন্যদিকে মিশরে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন দূত ফ্রাংক উইস্নার বলেছেন, যে ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলাকালে মুবারকের প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত থাকা উচিত৷ এই কথাকেও ওয়াশিংটন ফ্রাংক উইস্নারের ব্যক্তিগত অভিমত বলে মন্তব্য করেছে৷ অর্থাৎ একদিনে মুবারকের পতন হলে দীর্ঘদিনের মিত্র হারানোর আশংকা, অন্যদিকে মিশরে যে নতুন গণজাগরণ তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিধা দেখা যাচ্ছে৷

Dossierbild 1 Tahrir Square Proteste in Ägypten
মুবারকের শোষণে অতিষ্ঠ জনগণের দাবি একটাই ‘পদত্যাগ’ছবি: picture alliance / dpa

আরও সহিংসতার আশংকা

তবে গণআন্দোলনে তেমন ভাঁটা পড়তে দেখা যাচ্ছে না এখন পর্যন্ত৷ কায়রোর তাহরির চত্ত্বরে আগের চেয়ে জনসমাগম উপস্থিতি কম দেখা গেলেও দেশের অন্যান্য স্থানে কিন্তু বিক্ষোভ বরং আরও বাড়ছে৷ এই অবস্থাতে বিরোধী নেতা এল বারাদি আশংকা প্রকাশ করেছেন যে আন্দোলন আবারও সহিংস রূপ নিতে পারে৷ শনিবার এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, যে আন্দোলনকারীদের অনেকেই মুবারকের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের জায়গা থেকে সরবে না৷

সরকারের আপোশ আলোচনা

শনিবার ভাইস প্রেসিডেন্ট একাধিক বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন৷ তবে সেসব বিরোধী নেতা কারা সেটি কিন্তু খোলসা করা হয়নি৷ ইতিমধ্যে সেদেশে বেশ কিছু লোকের সমন্বয়ে ‘‘বিজ্ঞ পরিষদ'' নামে একটি সংগঠন গঠিত হয়েছে যারা আপাতত কয়েক মাসের জন্য মুবারককে নামমাত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহাল রাখতে সম্মত হয়েছেন৷ তবে কায়রোর রাস্তায় গণআন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে সেই মুসলিম ব্রাদারহুড, এল বারাদির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল কোয়ালিশন ফর চেঞ্জ, ওয়াফদ পার্টি এবং বামপন্থী তাগামু পার্টি তারা কেউ এতে এখনও রাজি হয়নি৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান