স্কি করতে গিয়ে আহত ম্যার্কেল
৭ জানুয়ারি ২০১৪জার্মান চ্যান্সেলরের অসুস্থতার খবর হঠাৎ করেই সোমবার প্রকাশ পায়৷ অথচ দুর্ঘটনা ঘটেছে বড়দিনের ছুটির সময়৷ চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গত শুক্রবার৷ ৫৯ বছর বয়সি ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট বার্লিনে সাংবাদিকদের জানান, চলতি সপ্তাহে ম্যার্কেলের সঙ্গে দু’জন রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সেগুলো বাতিল হয়েছে৷ এছাড়া, তাঁর আগামী তিন সপ্তাহের কর্মসূচি থেকে আরো কিছু বিষয় বাদ দেয়া হয়েছে৷
জার্মান চ্যান্সেলরের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট জানান, স্কি করার সময় পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ায় ম্যার্কেলকে এখন যতটা সম্ভব শুয়ে থাকতে হবে৷ কোনো কিছুর সহায়তা ছাড়া তাঁর হাঁটাও বারণ৷
তিনি বলেন, ‘‘চ্যান্সেলর আগামী তিন সপ্তাহ তাঁর কার্যালয় এবং বার্লিনে অল্প কয়েকটি বৈঠকে অংশ নেবেন৷ বাকি সময় বাড়িতে থেকে কাজ করবেন তিনি৷’’
ম্যার্কেল আগামী বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে থাকবেন৷ ২০১৪ সালে এটাই তাঁর ‘মহাজোট’ সরকারের প্রথম বৈঠক৷ তবে বুধবার ওয়ারশ সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন তিনি৷ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বার্লিনে লুক্সেমবুর্গের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক বাতিল হয়েছে৷ সাইবার্ট জানিয়েছেন, এসব বৈঠকের জন্য নতুন তারিখ ভবিষ্যতে নির্ধারণ করা হবে৷
তবে বৈঠক বাতিল করলেও টেলিফোনে পালিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক এবং লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী সাভিয়ে বেটেলের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করেছেন ম্যার্কেল৷
চ্যান্সেলরের মুখপাত্র সাইবার্ট বলেন, ‘‘এই মাসের শেষের দিকে ডাভোসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকেও যোগ দিচ্ছেন না ম্যার্কেল৷’’ স্কি করতে গিয়ে আহত হওয়ার সঙ্গে ফোরামে যোগ না দেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন সাইবার্ট৷ কেননা, এই বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, বড়দিনের ছুটিতে স্কি করতে গিয়ে গুরুতর আহন হন ফর্মুলা ওয়ানের জীবন্ত কিংবদন্তি মিশায়েল শুমাখার৷ বর্তমানে তিনি ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ তাঁর অবস্থা একটু ভালো হলেও এখনও সংকট কাটেনি৷
তবে ম্যার্কেলের অবস্থা শুমাখারের মতো নয়৷ বরং ‘‘তিনি ধীর গতিতে ‘ক্রস-কান্ট্রি’ স্কি করছিলেন’’ বলেই ধারণা করা হচ্ছে, জানান সাইবার্ট৷ এমনকি শুরুর দিকে চোট তেমন একটা টেরও পাননি ম্যার্কেল৷ তাই বার্লিনে ফিরে আসার পর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি৷
উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে চ্যান্সেলর হিসেবে তৃতীয়বার শপথ গ্রহণ করেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে তাঁর দল ব্যাপক সমর্থন পেলেও সরকার গঠনের জন্য তিন মাসের মতো অপেক্ষা করতে হয়৷ কেননা, ম্যার্কেলের আগের জোটসঙ্গী মুক্ত গণতন্ত্রীরা এবার সংসদের প্রতিনিধিত্ব করার মতো ভোট পায়নি৷ ফলে দীর্ঘ আলোচনার পর সামাজিক গণতন্ত্রীদের সঙ্গে ‘মহাজোট’ গড়েন তিনি৷
এআই/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)