মায়ের মৃত্যুর পরেও অসামান্য প্রদর্শনী দেখালেন জোয়ানে
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ক্যানাডার শীত অলিম্পিকে মেয়ে জোয়ানে রশেটে ফিগার স্কেটিং-এ প্রতিযোগী৷ মেয়ের পারফরমেন্স দেখতেই কুইবেক থেকে ভাঙ্কুভারে উড়ে এসেছিলেন মা টেরেসা রশেটে৷ কিন্তু ভাঙ্কুভারে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই তীব্র হৃদরোগে তাঁর অকস্মাত মৃত্যু হয়৷ এই দুঃখজনক ঘটনার পরেও জোয়ানে কিন্তু ভেঙে পড়েন নি৷ হাল ছেড়ে দেন নি৷ যথারীতি ফিগার স্কেটিং-এর অলিম্পিক আসরে নেমেছেন এই চব্বিশ বছরের তরুণী৷ তাঁর জীবনের এ পর্যন্ত সেরা পারফরম্যান্সও দেখিয়েছেন জোয়ানে৷ ফলাফল এখন যা, তাতে তিনি রয়েছেন তিন নম্বরে৷ আজ বৃহস্পতিবার ফাইনাল৷ সেখানে বোঝা যাবে জোয়ানে মেডেল জিতছেন কিনা৷
ক্যানাডার স্কেট টিমের ক্যাপ্টেন মিশায়েল স্লিপচুক-এর ভাষ্য অনুযায়ী জোয়ানের এই মনোবল আর এই অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রায় অবিশ্বাস্য ব্যাপার৷ জোয়ানের জীবনের কঠিনতম দিন ছিল এটা, বলেছেন মিশায়েল৷সেই কঠিনতম দিনে জোয়ানে যে পারফরম্যান্স দেখালো তা খেলাধুলার ইতিহাসেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷
অলিম্পিকের আসরে এ রকম মানবিক ঘটনার নজির নিশ্চয়ই উদাহরণযোগ্য৷ ফিগার স্কেটিং-এর মত কঠিন মনোযোগের আর ব্যালান্সের খেলায় মায়ের মৃত্যুর মত ঘটনার পর কোন অ্যাথলিট এত ভালো পারফরম্যান্স করতে পেরেছেন এই ঘটনা অবশ্যই ভবিষ্যতের প্রতিযোগীদের জন্য উদাহরণস্বরূপ৷ অসামান্য প্রদর্শনী শেষ হওয়ার পর জোয়ানে কিন্তু কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ তাঁর সেই যন্ত্রণা আর শোকে সামিল হয়েছেন দর্শকেরাও৷ তবে ফিল্ডে নেমে জোয়ানে যে অসাধারণ লাবণ্য আর দক্ষতার সঙ্গে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, তারপর মেডেল তিনি জিতুন বা না জিতুন, তাঁর এই খেলোয়াড়োচিত মনোভাবকে কখনোই ভুলবে না ভ্যাঙ্কুভারের শীত অলিম্পিকের আসর৷
প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা - আরাফাতুল ইসলাম