1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রিকেটের জয়ে চাপা পড়েছে বাংলাদেশি জিম্মির খবর

১০ মার্চ ২০১৫

একই দিনে দুটি খবর৷ লিবিয়ায় এক বাংলাদেশিকে জিম্মি করেছে আইএস৷ তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দারুণ এক জয়ে সে খবর অনেকটাই চাপা পড়েছে৷ এক ব্লগার লিখেছেন, ‘‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি৷'’

https://p.dw.com/p/1Eo7Q
Bangladesch vs England Cricket Weltmeisterschaft
ছবি: Reuters/D. Gray

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ৷ মাশরাফির দলের এ জয়ের আনন্দে বাংলাদেশ উত্তাল৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও এ নিয়েই ব্যস্ত৷ সেই তুলনায় লিবিয়ায় এক বাংলাদেশির জিম্মি হওয়ার খবরে মনযোগ নেই বললেই চলে৷ এমনিতে সংবাদ মাধ্যমে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অসামান্য জয়ের পাশাপাশি এক বাংলাদেশির ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর হাতে জিম্মি হওয়ার খবরটিও প্রচারিত হয়েছে৷ এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ এবং জিম্মি বাংলাদেশির পরিবারের উদ্বেগের কথাও জানা গেছে প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে৷ কিন্তু টুইটারে দুয়েকজন শুধু খবরটিই জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাননি৷

তবে বিষয়টি নিয়ে গতকাল পরিবেশন করা ডয়চে ভেলের সংবাদটি পড়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ কামরুল হাসান লিখেছেন, ‘‘সকল জঙ্গি গোষ্ঠীর ব্যপারে বিশ্বের কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার, এদের সৃষ্টির কারখানা ধ্বংস করা, এদের স্বাধীন বিস্তার ধ্বংস করা এবং এদের বিশ্বাসে বারবার হামলা করা দরকার৷'' শাহীন আলম ভূইয়া লিখেছেন, ‘‘অ্যামেরিকা আর তার ইউরোপীয় দোসররা মারা যাচ্ছে কম, তাই বিশ্বমোড়ল হওয়ার পরও তারা চুপচাপ৷''

অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলছে মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদুল্লাহদের নিয়ে প্রশংসা৷ অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল৷ নানাভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে জয়ের আনন্দ৷ সামহয়্যারইন ব্লগে তাহসিনুল ইসলাম ছোট্ট একটি গল্প লিখেছেন, গল্পের নাম, ‘‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি৷''

সহজ সাদামাটা গল্প৷ আফজাল সাহেব ক্রিকেটভক্ত৷ বাংলাদেশের জয়ে তিনি ভীষণ আনন্দিত৷ এ আনন্দে কোনো ভালো কাজ তিনি করতেই পারেন৷ তাঁর স্ত্রী শরিফা বেগম সেটা বুঝতে পেরে বললেন, ‘‘তুমি বাংলাদেশ দলের জয়ের আনন্দে সিগারেট ছেড়ে দাও৷'' আফজাল সাহেব দুই সেকেন্ড চুপ করে থেকে বললেন, আচ্ছা, ঠিক আছে, ছেড়ে দিলাম৷'' গল্পের শেষে তাহসিনুল লিখেছেন, ‘‘এ দেশের মানুষ আমরা এমনই৷ আমরা খুব সহজেই আনন্দ, বেদনা, আবেগে ভাসতে পারি৷ এজন্যই আমরা সুখী দেশ৷ সুন্দর দেশ৷ এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি....৷''

মনোয়ার রুবেল সামহয়্যারইন ব্লগেই লিখেছেন, ’‘আই লাভ ইউ বাংলাদেশ'’৷

ইংল্যান্ডকে হারানোর আনন্দে এক রিকশাচালককে কাঁদতে দেখে তাঁর মনে হয়েছে, ‘‘দেশকেই বোধহয় আমরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি৷ নিজের বউ বা প্রেমিকার চেয়েও বেশি৷ না হয় বাংলাদেশের জয়ে এই রিকশাওয়ালা কাঁদছে কেন?''

একই ব্লগে ‘এমন কষ্টের সময় এক ঝলক খুশির বাতাস' শীর্ষক বেশ তথ্যবহুল একটি পোস্ট দিয়েছেন আহমেদ রশীদ৷

ম্যাচের কোন মুহূর্ত সম্পর্কে তিনি কী লিখেছেন, ক্রিকেটের কোন কোন তথ্য তুলে ধরেছেন – এ সব জানার জন্য তাঁর লেখাটি পড়ে নেয়াই উত্তম৷ তবে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার মাঝে এ ম্যাচ যে সত্যিই ‘কষ্টের সময়ে এক ঝলক খুশির বাতাস' হয়েছে তা নিশ্চয়ই লেখাটি না পড়লেও সবাই স্বীকার করবেন৷

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য