1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইসলামিক' বিমান আপাতত বন্ধ

১৬ এপ্রিল ২০১৬

‘ইসলামের বিধান' মেনে চলার অঙ্গীকার করেই যাত্রী পরিবহন শুরু করেছিল রায়ান এয়ার৷ মদ নিষিদ্ধ ছিল বিমানে, যাত্রীদের দেওয়া হতো ‘হালাল' খাবার, বিমানবালাদের পরতে হতো হিজাব৷ মালয়েশিয়ার সেই এয়ারলাইন্সটির কার্যক্রম বন্ধ৷

https://p.dw.com/p/1IV2h
রায়ানি এয়ার এর একটি ফ্লাইট
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Paul

সোমবার ‘শরিয়া আইন মেনে চলা' মালয়েশিয়ার একমাত্র বিমান সংস্থা রায়ান এয়ারকে তিন মাসের জন্য কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়৷ শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট বাতিল করা, যাত্রা শুরু করতে নিয়মিত বিলম্ব করা এবং বিমানচালকদের ধর্মঘটের কারণে বেসরকারি এই বিমান কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দিয়েছে মালয়েশিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ৷

ফলে মাত্র চার মাসের মাথায় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হলো রায়ানি এয়ার৷

গত ডিসেম্বরে মাত্র দু'টি বিমান নিয়ে মালয়েশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে যাত্রী পরিবহন শুরু করে রায়ান এয়ার৷ সরকারি নির্দেশে আপাতত কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বেসরকারি বিমান সংস্থাটি ফেসবুকে জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো কাটিয়ে শিগগিরই আবার যাত্রী পরিবহন শুরু করা হবে৷

ইসলামি আইন মেনে যাত্রী সাধারণকে উন্নত সেবা দানের অঙ্গীকার করলেও রায়ান এয়ার ছ'মাসও ঠিকভাবে যাত্রীসেবা দিতে পারেনি৷ বিমানে মদ ছিল নিষিদ্ধ, সব যাত্রীকে ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী ‘হালাল' খাবার দেয়া হতো, সব মুসলিম ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ছিল, অমুসলিম ফ্লাইট অ্যাটেন্টদের পরতে হতো ‘শালীন' পোষাক৷ এ সব কারণে শুরু থেকেই সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়ে রায়ান এয়ার৷

২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরই এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটের বিমান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মালয়েশিয়ার বিমান পরিবহন ব্যবসায় মন্দা চলছে৷ ঐ বিমান নিখোঁজ হওয়ার ছয় মাস পরে রহস্যজনকভাবে পূর্ব ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের আরেকটি বিমান৷ ২৯৮ জন যাত্রী নিয়ে সেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে৷ সেই থেকে মালয়েশিয়ার পর্যটন শিল্প দুঃসমযের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান