1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষের কল্যাণে মাধ্যাকর্ষণহীন অবস্থায় পরীক্ষা

৯ মে ২০১৭

মাধ্যাকর্ষণহীনতার অনুভূতি একদিকে জীবনের স্মরণীয় ঘটনার মধ্যে পড়ে৷ অন্যদিকে সেই অবস্থায় মানুষের উপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে অনেক মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করা যায়, যা চিকিৎসাশাস্ত্র সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে৷

https://p.dw.com/p/2cbKl
Parabel 1 Airbus 300 Operation ESA/DLR Zero Gravity
ছবি: Novospace

পরিকল্পিত পরীক্ষার কাউন্টডাউন চলছে৷ অংশগ্রহণকারীরা মাথায় ইলেকট্রোড লাগানো টুপি পরেছেন৷ প্রথমে শান্ত অবস্থায় তাদের মস্তিষ্কের তরঙ্গ রেকর্ড করা হয়৷ তবে এমন অবস্থায় গবেষক ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সবকিছু সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে৷ পরের ধাপে তাদের স্ট্রেস টেস্টে পাশ করতে হবে৷ মাধ্যাকর্ষণহীনতার কারণে মাঝেমধ্যে শরীরে অংশগুলির মধ্যে সমন্বয়ে ভুল হয়৷ তবে একজন মহাকাশচারীকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়৷

স্টেফান শ্নাইডার এই প্রকল্প পরিচালনা করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিমান রওয়ানা হলেই এই আসনে আমাকে বসে তথ্য রেকর্ড করতে হয়৷ এখানে নানা রকম অ্যামপ্লিফায়ার রয়েছে৷ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অন্যদিকে সাদা অংশে বসে থাকে৷ দ্বিতীয় একজন অপারেটর তার কাছে থাকে, শূন্যে দোলায়৷ সব তথ্য ওয়াইফাইয়ের সাহায্যে পাঠানো হয়৷ অর্থাৎ অংশগ্রহণকারীরা পুরোপুরি মুক্ত অবস্থায় শূন্যে ভাসতে পারেন৷ আইএসএস-এর মহাকাশচারীদের মতো অভিজ্ঞতা হয়৷''

মাত্র দুই মিনিট পর মাধ্যাকর্ষণহীনতার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হচ্ছে৷ যাত্রীরা সব মিলিয়ে ৩০ বার এই অভিজ্ঞতার স্বাদ পাচ্ছেন৷ কল্পবিজ্ঞান কাহিনির মতো পেশির অনুশীলন চলছে, তবে এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের স্বার্থে৷

চলচ্চিত্র পরিচালকরাও এমন ‘রিডিউসড গ্র্যাভিটি এয়ারক্রাফট'-এ চড়ে প্রেরণা গ্রহণ করেন৷ এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের চলচ্চিত্রে এমন কোনো দৃশ্য এবং তার সঙ্গে যুক্ত অনুভূতিকে যতটা সম্ভব বাস্তবসম্মত করে সাজাতে পারেন৷ স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. স্টেফান শ্নাইডার বলেন, ‘‘মাধ্যাকর্ষণহীনতার অনুভূতি আসলে অবর্ণনীয়, কারণ, প্রকৃতির মধ্যে এমনটা দেখা যায় না, বরং প্রকৃতির নিয়ম ভাঙতে হয়৷ নানাভাবে সেই প্রচেষ্টা চালানো হয়৷ যেমন পাইলট জানালেন যে, তাঁর মনে হয় তিনি টিলার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন৷ আরেক পা এগোলেই সোজা নীচে পড়ে যাবেন৷ আমার নিজের মনে হয়েছে, পায়ের নিজস্ব সেন্সর না থাকায় যেন অবিশ্বাস্য গতিতে ছিটকে বাইরে পড়ে যাচ্ছি৷''

বিজ্ঞান যখন আনন্দ দেয়, তখন আর কী বলার থাকতে পারে! বিমানে চালানো পরীক্ষার ফলাফল গোটা বিশ্বের মানুষের কাজে লাগবে৷ যেমন পেশি ও হাড়ের রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে এই তথ্যের প্রয়োজন আছে৷ তবে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন মহাকাশযাত্রীরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য