1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মনোকষ্ট নারীদের আয়ু কমায় না

নিক মার্টিন/এসি১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

এর আগে যা ভাবা গিয়েছিল, দৃশ্যত ব্যাপারটা সেরকম নয়: মহিলাদের ক্ষেত্রে মানসিক দুঃখকষ্টের সঙ্গে অকালমৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই৷ সাত লাখের বেশি ব্রিটিশ মহিলাদের একটি জরিপ থেকে তা-ই প্রমাণ হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1HPCi
ছবি: Petro Feketa/Fotolia

প্রখ্যাত ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যান্সেট'-এ প্রকাশিত বিবরণ অনুযায়ী সুখি হওয়া অথবা না হওয়ার সঙ্গে অকালে মৃত্যু ঘটার কোনো সম্পর্ক নেই, যদিও এর আগে দশকের পর দশক ধরে বলে আসা হয়েছে যে, মানসিক দুঃখকষ্ট ও চাপের ফলে স্বাস্থ্যের হানি ঘটতে পারে৷

গবেষক দলের প্রধান, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. বেটে লিউ বলেন, ‘‘অসুস্থতা আপনাকে অসুখি করতে পারে, কিন্তু অসুখি হওয়া থেকে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে না৷'' দৃশ্যত গবেষকরা মানসিক দুঃখকষ্ট বা চাপের সঙ্গে অকালমৃত্যুর কোনো কার্য্যকারণ সম্পর্ক খুঁজে পাননি৷

তথ্য এসেছে ৭ লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি ব্রিটিশ মহিলাকে নিয়ে করা একটি জরিপ থেকে৷ জরিপটি করা হয় ইউকে মিলিয়ন উইমেন প্রোজেক্ট-এর অঙ্গ হিসেবে৷ এই সব মহিলাদের বয়স ৫০ থেকে ৬৯-এর মধ্যে৷ নব্বই-এর দশকের শেষে ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং-এর একটি জাতীয় প্রোগ্রামে অংশ নেন এরা৷

আসল কারণ

গবেষণা প্রকল্পে যোগদানের তিন বছর পরে মহিলাদের বলা হয়, নিজেদের স্বাস্থ্য, সুখ, মানসিক চাপ, বিহ্বল লাগা বা না লাগা, রিল্যাক্স করতে পারা বা না পারা ইত্যাদির মূল্যায়ন করতে৷ দৃশ্যত প্রতি ছ'জন মহিলার মধ্যে পাঁচজন বলেন, তাঁরা সাধারণত সুখি বোধ করেন; ষষ্ঠজন সাধারণত অসুখি বোধ করেন৷ পরের দশ বছরে ইলেকট্রনিক রেকর্ড লিংক-এর মাধ্যমে এই সব মহিলাদের খোঁজখবর রাখা হয়৷ ঐ সময়ের মধ্যে তাঁদের মধ্যে ৩০ হাজার মহিলা মারা যান৷

কিন্তু মজার কথা হলো, অসুখি মহিলাদের মধ্যে মৃত্যুর হার সুখি মহিলাদের চেয়ে বেশি নয় – তাঁদের স্বাস্থ্য অথবা জীবনধারা সংক্রান্ত তারতম্য বাদ দিলে৷ যাঁরা মানসিক বিষাদ বা শঙ্কা ইত্যাদি মানসিক রোগে ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলাদা করে বিশ্লেষণ করেও একই সিদ্ধান্তে আসা গেছে৷ গবেষণাপত্রটির যুগ্ম রচয়িতা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রিচার্ড পেটো বলেছেন, লোকে এবার ‘‘যে সব কারণে বাস্তবিক তাদের আয়ুক্ষয় হয়, যেমন ধূমপান অথবা মেদ, সেদিকে নজর দিতে পারবে''৷

নারীপুরুষ

গবেষণাটি শুধুমাত্র মাঝবয়সি মহিলাদের নিয়ে – তাহলে পুরুষদের কী হবে? বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা গিয়েছে যে, পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা মহিলাদের চেয়ে বেশি৷ ফরাসি বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, নারীও পুরুষের সুখের সংজ্ঞাও আলাদা!

শেষমেষ বলা দরকার, ‘লনজিভিটি প্রোজেক্ট' নামের একটি প্রকল্প থেকে দেখা গেছে, যে সব মহিলারা অসুখি পুরুষদের সঙ্গে বিবাহিত, সেই ধরনের মহিলারা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন না এবং অকালে মারা যান৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে কিন্তু সে'কথা প্রযোজ্য নয়৷

আপনার দেখা নারীরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছেন তো? আপনি তাঁকে কীভাবে সাহায্য করছেন?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য