1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে, তবে সঠিক পথেই রয়েছে বাংলাদেশ

১২ এপ্রিল ২০১০

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও মানবাধিকার পরিস্থিতির আরো উন্নতি দেখতে চান সফরকারী দুই জার্মান সংসদ সদস্য৷ তাঁরা জানান, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বাড়বে৷

https://p.dw.com/p/MueO
জার্মান সাংসদ ইউর্গেন ক্লিমকেছবি: Jürgen Klimke

জাহাজ নির্মাণ ও সৌর বিদ্যুৎ খাতে তাঁরা বিনিয়োগ দেখতে আগ্রহী৷ জার্মান সংসদের দুই প্রতিনিধি তাঁদের সফরের আলোকে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি মূল্যায়নভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করবেন৷ যার উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশ-জার্মানির সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ৷ ঢাকায় সোমবার জার্মান রাষ্ট্রদূত হোলগার মিশায়েল বললেন সেকথা৷ তিনি জানান, সংসদ সদস্য ইউর্গেন ক্লিমকে এবং নাইমে মোভাসাত জার্মান সংসদের বৈদেশিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য৷ তাঁরা ৭ই এপ্রিল ঢাকায় এসেছেন এবং মঙ্গলবার সফর শেষ হবে৷ এরই মধ্যে তাঁরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷

সোমবার একটি হোটেলে ঘরোয়া সংবাদ সম্মেলনে জার্মান সংসদ সদস্য ইউর্গেন ক্লিমকে বলেন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঘাটতি রয়েছে৷ জার্মান বিনিয়োগকারীরা এবং সরকার এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়৷ সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের বিষয়টি নিয়েও বাংলাদেশের অনেক কাজ করার আছে৷ তবে তারা মনে করেন, বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে৷ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা ভাল৷কিন্তু আরো ভাল করতে হবে৷

তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোষাক শিল্পে সব নীতিমালা মানা হচ্ছে না৷ ২৫ জনের মত সাংসদ তৈরি পোষাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত৷ যা স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করে৷ এসব বিষয় দেখতে হবে৷ জার্মানি তৈরি পোষাক শিল্পে কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে রেটিং ব্যবস্থা চালু করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, জার্মানিতে বাংলাদেশের তৈরি পোষাক রফতানি বাড়ছে৷ পরিস্থিতর উন্নতি হলে তা আরো বাড়বে৷

ক্লিমকে জানান, সৌর বিদ্যুৎ ও জাহাজ নির্মানণ শিল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির যৌথ বিনিয়োগ হতে পারে৷ এই দুই খাতে তাদের আগ্রহ রয়েছে৷ তবে কয়লা খনির ব্যপারে তারা কাজ করতে তেমন আগ্রহী নয়৷

জার্মান সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়েও কথা বলেন৷ তারা চান এই বিচার যেন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়৷

প্রতিবেদন : হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক