মহাকাশের বাড়ির কথা
মহাকাশে বসবাসের জন্য পৃথিবীর তিনজন বিজ্ঞানী ২০০০ সালের ২ নভেম্বর ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’ বা আইএসএস-এ পৌঁছেছিলেন৷ ছবিঘরে থাকছে আইএসএস নিয়ে কিছু তথ্য৷
খালি চোখে দেখা যায়
চাঁদ যেমন, তেমনি আইএসএস-কেও পৃথিবী থেকে মাঝেমধ্যে খালি চোখে দেখা যায়৷ পৃথিবী থেকে এর উচ্চতা ৩৩০ থেকে ৪৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে ওঠানামা করে৷ এটা সেকেন্ডে পাঁচ মাইল বেগে চলে৷ ফলে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে দেড় ঘণ্টা৷ ছবিতে যে আটটি সোলার অ্যারে দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো দিয়েই সেখানকার বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হয়৷ একসঙ্গে মোট ছয়জন নভচারী থাকতে পারেন সেখানে৷
প্রথম অধিবাসী
মাঝের জন মার্কিন উইলিয়াম শেফার্ড আর তাঁর দুপাশে দুই রাশিয়ান ইউরি গিডজেঙ্কো (বামে) ও সের্গেই ক্রিকালভ৷ এই তিনজনই আইএসএস এর প্রথম বাসিন্দা৷ ২০০০ সালের ২ নভেম্বের তাঁরা আইএসএস-এ পৌঁছান৷ ছিলেন ১৩৬ দিন৷
সাড়ে পাঁচ মাস
নভচারীরা সাধারণত গড়ে সাড়ে পাঁচমাস করে থাকেন মহাকাশের এই বাড়িতে৷ তবে নাসার নভচারী স্কট কেলি (ছবিতে যাঁকে দেখছেন) ও রাশিয়ার মিখাইল করনিয়েনকো আইএসএস-এ থাকবেন প্রায় এক বছর৷
মাল্টিন্যাশনাল
ক্যানাডার ক্রিস হ্যাডফিল্ড আইএসএস-এ গিটার বাজাচ্ছেন৷ গত ১৫ বছরে ২০০-র বেশি নভচারী এই বাড়ির বাসিন্দা হয়েছেন৷ এর মধ্যে ১৪১ জন মার্কিন নাগরিক, ৪৪ জন রাশিয়ার, জাপান ও ক্যানাডার সাতজন, ইটালির পাঁচজন, জাপান ও ফ্রান্সের তিন জন, আর ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, স্পেন, কাজাখস্থান ও মালয়েশিয়ার একজন করে নাগরিক রয়েছেন৷
শাটল বাস
মার্কিন স্পেস শাটল অ্যাটলান্টিসকে আইএসএস-এ ডক করতে দেখছেন৷ অবশ্য অ্যাটলান্টিস এখন আর নেই৷ তার জায়গায় আছে রাশিয়ার সুয়্যজ যান৷ এ ধরণের স্পেস শাটলে করেই নভচারীরা আইএসএস-এ পৌঁছান৷ অধিবাসীদের খাবার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও যায় এসব যানে করে৷
স্পেসওয়াক
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নভচারীরা প্রায় ১৮০টি স্পেসওয়াক সম্পন্ন করেছেন৷
রোবটিক হাত
আইএসএস-এর কয়েকটি রোবটিক হাত রয়েছে৷ ছবিতে যেটা দেখছেন সেটার নাম ‘ক্যানাডার্ম২’৷ পুরো মেললে হাতটার দৈর্ঘ্য হয় ৫৭.৭ ফুট৷ এই হাত প্রায় ১০০ টন ওজন সমপরিমাণ জিনিসপত্র তুলতে পারে৷
টুইটার তারকা নভচারী
আইএসএস-এ জার্মানির তিন নভচারীর একজন আলেক্সান্ডার গেয়ার্স্ট৷ আইএসএস থেকে তিনি ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসেন৷ মহাকাশ থেকে একের পর এক টুইট করে রীতিমত সাড়া ফেলেছিলেন তিনি৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির জয় থেকে শুরু করে মালালা ইউসুফজাইয়ের নোবেল জয় পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নিয়ে মহাকাশ থেকে টুইট করেছিলেন গেয়ার্স্ট৷