মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান
১৫ মার্চ ২০১০ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে এটিই তাঁর প্রথম সফর৷ গত ডিসেম্বরে ইইউ এর গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়ার পর থেকে দীর্ঘসময় তাঁকে সামনের সারিতে দেখতে না পাওয়ায় ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুনতে হয়েছে অ্যাশটনকে৷ তবে চলতি সপ্তাহের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই তিনি ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি অঞ্চল, লেবানন, সিরিয়া এবং জর্ডান সফর করতে যাচ্ছেন৷
তাঁর এই সফর সম্পর্কে অ্যাশটন বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের জন্য আমার সুস্পষ্ট বার্তা হচ্ছে, আমরা চাই, আঞ্চলিক শান্তির জন্য সকল মহল আলোচনার টেবিলে ফিরে আসুক৷'' এছাড়া গাজা এলাকায় ইইউ যে সহায়তা দিয়ে আসছে তার কার্যকারিতা পরিদর্শন করাও অ্যাশটনের এই সফরের উদ্দেশ্য৷ তিনি বলেন, ‘‘গাজায় আমরা বিশাল অঙ্কের সহায়তা দিয়ে আসছি, তাই আমরা দেখতে চাই যে, সেগুলোর মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হচ্ছে৷''
সোমবার সকালে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আহমেদ আবুল ঘেইত এবং দেশটির গোয়েন্দা প্রধান ওমার সুলেইমান এর সাথে বৈঠকের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেন অ্যাশটন৷ উল্লেখ্য, ওমার সুলেইমান ফিলিস্তিনি উপদলসমূহের মধ্যে সমঝোতা এবং ২০০৬ সালে গাজা সীমান্তে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি সৈন্য গিলাড শালিটের মুক্তির ব্যাপারে মুখ্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছেন৷
কায়রোতে অ্যাশটন বলেন, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ইউরোপ বদ্ধপরিকর৷ আবুল ঘেইত এবং সুলেইমান এর সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অ্যাশটন ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এবং ফিলিস্তিনিদের উপদলসমূহের মধ্যে সমঝোতা আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের জন্য মিশরের প্রশংসা করেন৷ তিনি বলেন, ঐ অঞ্চলের কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে আরো অগ্রগতি চায় ইউরোপ৷
অ্যাশটনের সাথে বৈঠকের পর আবুল ঘেইত বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ বন্ধের ব্যাপারে ইউরোপের মনোভাব নিয়ে তাঁদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘ইসরায়েলকে এটা বুঝতে হবে যে, তাদের এই পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্ষুব্ধ এবং সেজন্য তাদের যথেষ্ট মূল্য দিতে হবে৷'' এর আগে অ্যাশটন নিজেও ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে, সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা যখন শুরুর পথে এমন সময় ইসরায়েল এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলো৷''
প্রতিবেদক : হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক