মছলি মারা গেছে
ভারতের রনথম্বোর ন্যাশনাল পার্কের ‘মছলি’ নামের বাঘিনীটি ছিল ভারতের প্রখ্যাততম বাঘ৷ সরকারি দলিলপত্রে তার নম্বর ছিল টি-১৬, কিন্তু অধিকাংশ সময় জলের কাছাকাছি দেখতে পাওয়া যেত বলে তার নাম হয়েছিল ‘মছলি’ বা মাছ৷
রায়বাঘিনী
এককালে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করেছে মছলি, তার ছবিও আছে৷ বনের বাঘ ১২-১৩ বছর অবধি বাঁচে; মছলি বেঁচেছিল অন্তত ২০ বছর৷ বার্ধক্যই তার মৃত্যুর কারণ, চারদিন না খেয়ে এক জায়গায় শুয়ে ছিল মছলি, বৃহস্পতিবার সে মারা যায়৷ সব মিলিয়ে ন’টি ব্যাঘ্রশিশুর জননী সে৷ অপরদিকে অসংখ্যবার তার ছবি তোলা হয়েছে৷ এমনকি তার নিজের ওয়েবসাইটও ছিল৷
জলে বাঘ, ডাঙায় কুমির?
তাহলে নিশ্চয় সুন্দরবন৷ তবে এই বাঘিনীটির গলায় রেডিও কলার বাঁধা৷ এর দিন কয়েক আগে সে একটি জনবসতির কাছে ধরা পড়েছিল, তাই তাকে স্থানান্তরিত করা হয়৷ ভারতে বুনো বাঘদের সংখ্যা আজ হাজার দু’য়েকের খুব বেশি নয়৷
বাঘ তাড়ানো শিখতে হয়
বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকার মানুষরা বাঘ তাড়ানোর পন্থা শিখছেন৷ এদের বলে ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম৷ গ্রামের কাছে বাঘ এলে তাকে মেরে না ফেলে, তাড়ানো শেখাটাই এই ফিল্ড ট্রেনিং-এর উদ্দেশ্য৷
বাঘ যখন বেড়াল হয়
থাইল্যান্ডের কাঞ্চনবুরি প্রদেশের টাইগার টেম্পল-এ ভিক্ষুরা পোষা বাঘ নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন যেন তারা বকলেশ বাঁধা কুকুর নিয়ে হাঁটতে যাচ্ছেন! টুরিস্টরা সেই সব নিরীহ বাঘের সঙ্গে ছবি তুলতেন৷ নানা অভিযোগে ২০১৬ সালের মে মাসে আশ্রমটি বন্ধ করে দেওয়া হয় ও সেখানকার ১৩৭টি বাঘকে বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ ৪০টি ব্যাঘ্রশাবকের হিমায়িত লাশও পাওয়া গিয়েছে এই টাইগার টেম্পল-এ৷
জলে নয়, ডাঙায় নয়, বরফে বাঘ
হবে না কেন, সাইবেরিয়ান টাইগার কিনা! তবে এই সাইবেরিয়ান টাইগার পার্কটি চীনের হারবিন-এ; সংহুয়া নদীর উত্তর তীরে প্রায় ৩৫৫ একর জমি নিয়ে তৈরি৷ সাইবেরিয়ান টাইগার হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঘ; সেই বাঘ প্রজননের বৃহত্তম কেন্দ্র হল এই হারবিন৷
সার্কাসের বাঘ
নিকারাগুয়ার সান রাফায়েল-এ গত এপ্রিলেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল রেনাতো-র সার্কাস, যা কিনা আদতে মেক্সিকোর; কিন্তু সেখানে তাদের জন্তুজানোয়ার রাখা বারণ হওয়ায় তারা নিকারাগুয়ায় এসেছে৷ সেখানে তোলা ২০১৬ সালের ১২ ই এপ্রিলের ছবি৷ একটি সাদা ও একটি সোনালি বাঘের ছানা খাঁচার কাছে খেলা করছে৷ রেনাতো ফুয়েন্তেস-এর পলিনা নামধারী বাঘিনীর সন্তান এরা; তিন নম্বর শাবকটি আবার সাদা বাঘ৷
মা হলেই হলো
তিনটি বাঘের ছানা, তাদের নাম অলিম্প, দার ও টাল্লি; প্রথম দু’টি মদ্দা, শেষেরটি মেয়ে৷ ছোট্ট বাঘিনী টাল্লির নাম রাখা হয়েছে তার পালিকা মা টাল্লির নামে৷ টাল্লি কিন্তু একটি সুইস শেফার্ড ডগ৷ কাহিনিটি রাশিয়ার ব্ল্যাক সি রিসর্ট সোচি থেকে৷ সোচির চিড়িয়াখানার বাঘিনীটি তার সদ্যোজাত শাবকদের নিতে চায়নি৷ তাই তাদের দুধ খাইয়ে ‘মানুষ’ করছে টাল্লি কুকুর – তার মনটা বড্ড নরম কিনা!