1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গলগ্রহের পথে বাক্সবন্দি ছয়জন

১৮ আগস্ট ২০১০

এই গ্রীষ্মে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রচন্ড গরম আর দাবানলের ধোঁয়ায় যখন রাজধানী মস্কোসহ রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় মানুষের প্রাণান্তকর অবস্থা, তখন ছয়জন মানুষ ক্রমাগতভাবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় স্ব-ইচ্ছায় বাক্সবন্দি৷

https://p.dw.com/p/Opw5
রাশিয়া থেকে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে রওনা হবার আগে অভিযাত্রি দলছবি: picture alliance/dpa

বাক্সবন্দি ছয়জনের মধ্যে তিনজন রুশ, একজন ইটালিয়, একজন চীনা এবং একজন ফরাসি নাগরিক৷ কী করছেন তারা? যাচ্ছেন মঙ্গলগ্রহে৷ বিশ্বাস হচ্ছে না? এরই মধ্যে তাঁরা ঐ বাক্সে অর্থাৎ ক্যাপসুলে অতিবাহিত করেছেন দুই মাস৷ তাঁদের এই ফ্লাইট মঙ্গলগ্রহে যাবে আবার ফিরেও আসবে৷

পুরো মিশনটি ৫২০ দিনের৷ কারণ মঙ্গলগ্রহে গিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে সময় লাগে প্রায় ১৫ মাস৷ এখনও পর্যন্ত ছয়জন অভিযাত্রীর কেউই এই যাত্রা ক্লান্তিকর লাগছে বলে অভিযোগ তোলেনি৷ জার্মান বিমানচালনা এবং মহাকাশ এজেন্সির প্রধান পেটার গ্রাফ বলেছেন, ছয়জন অভিযাত্রীর কেউই বের হয়ে যেতেও চাননি৷

জানা গেছে, ছয়জনই তাঁদের মানসিক সহ্যক্ষমতা, নিয়ম এবং উন্নয়ন পরীক্ষা দিতে এখনও উৎসর্গিমনা৷ ইটালিয়ান অভিযাত্রী দিয়েগো উরবিনা টুইটারে লিখেছেন, তিনি এখনও ক্যাপসুলের বাইরের লোকজন নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন৷

নুরেমব্যার্গের এরলাঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেডিক্যাল গবেষক ইয়েনস টিটসে৷ তিনি বলেন, যেভাবে এই ছেলেগুলো এই মিশনে অংশ নিচ্ছে, তা আসলে তুলনাহীন৷ গবেষক টিটসে এবং তাঁর দল আগে থেকেই এই মিশনের খাবার তৈরির পরিকল্পনায় ছিলেন৷ তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে মেন্যুতে যা আছে, তাই তাঁরা খাচ্ছেন৷

জার্মান সেনাবাহিনীর ক্যাপটেন অলিভার ভিকেল মস্কোতে পরীক্ষামূলক ক্যাপসুল পর্যবেক্ষণ মিশনে ১০৫ দিন অতিবাহিত করেছেন৷ তিনি মার্স ফাইভ হান্ড্রেড প্রকল্পকে মহাকাশ উড্ডয়নের ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল পরীক্ষা বলে অতিবাহিত করেছেন৷ কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, পরবর্তী ৪৫০ দিন ঐ ছয়জন অভিযাত্রীর জন্যে অনিশ্চিত৷

মানসিক এবং শারীরিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা প্রথম কয়েকমাস ক্যাপসুলের ক্রুদেরকে ব্যস্ত রাখবে৷ ইউরোপীয় মহাকাশ এজেন্সির ওয়েব সাইটে ফরাসি অভিযাত্রী রোমেইন চার্লস লিখেছেন, মিশনে ঘুম থেকে ওঠার পরে নাস্তার আগেই প্রত্যেককে চার থেকে পাঁচটি নির্ধারিত কাজ শেষ করতে হবে৷ চীনা অভিযাত্রী ওয়াং উয়ে লিখেছেন, মহাকাশ অভিযাত্রীদের জন্যে অলস সময় খুব কমই রয়েছে, তবে যা আছে তা তাঁরা খুব ভালো ভাবেই ব্যবহার করছেন৷ যেমন উয়ে চার্লসকে জটিল চীনা লিপি লিখতে শেখাচ্ছেন৷ মিশনে সম্প্রতি চার্লস তাঁর জন্মদিনও পালন করেছেন৷ মস্কো থেকে বন্ধুদের টেলিফোন শুভেচ্ছাও পেয়েছেন৷ তবে তা আর সম্ভব নয়, কেননা মহাকাশ যানটি পৃথিবী ছেড়ে এখন অনেক দূরে চলে গেছে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ