1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গল গ্রহের ধূলোমাটি পরীক্ষা করল ফিনিক্স

দেবারতি গুহ৩ জুন ২০০৮

মঙ্গল গ্রহের উত্তর মেরুতে সফলভাবে অবতরণকারী মার্কিন মহাকাশযান ফিনিক্স প্রাণের সন্ধানে মঙ্গলের ধূলোমাটি পরীক্ষা করেছে ইতিমধ্যেই৷ প্রাণ ধারনের উপযোগী উপাদান বরফের অস্তিত্ব খোঁজার জন্য মঙ্গলের মাটির নমুনা পরীক্ষা এই প্রথম৷

https://p.dw.com/p/ECDT
ফিনিক্সের পরীক্ষা সফলছবি: AP

নাসার প্রধান মহাকাশ বিজ্ঞানী এড ওয়েইলার, এ-অভিযানকে আগের দুটি মঙ্গল অভিযানের থেকে অনেক বেশি দুঃসাধ্য বলে মন্তব্য করেছেন৷ মাটির নমুনা পরীক্ষা করে রোবোটিক আর্ম ক্যামেরায় এর একটি পায়ের ছাপ আকৃতির ছবিও তুলে পাঠায় ফিনিক্স৷ জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা৷ ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাদেনায় নাসার 'জেট প্রপালসন ল্যাবোরাটরি' থেকে ফিনিক্সের মিশন ম্যানেজার ডেভিড স্পেনসার বলেন, এই সফলতাই বলে দিচ্ছে যে নাসা রোবোটিক আর্ম সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে এবং পরবর্তী নমুনা সংগ্রহ ও সরবরাহের ক্ষেত্রে তারা বর্তমানে একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে৷

বস্তুতপক্ষে, মঙ্গলে জলের অস্তিত্ব খুঁজতে এবং সেখানে জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় অবস্থা যাচাই করতেই এ-মহাকাশযান পাঠানো হয়৷ শোনা যায়, ১০ মাস আগে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে এ-মহাকাশযানটি মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়৷ যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে গ্রিনিচ সময় ২৩৫৩ ঘণ্টায় সফলভাবে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করে৷ উল্লেখ্য, ফিনিক্স নামের এই মার্কিন মহাকাশযানটিই প্রথম মহাকাশযান হিসেবে কোন গ্রহের মেরু অঞ্চলে সফলভাবে অবতরণ করল৷

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলের মেরু অঞ্চলে মাটির নীচে বরফজমা জলের সন্ধান পান৷ এই জলের নমুনা সংগ্রহ এবং জীবনের জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের খোঁজেই ২০০৭ সালের আগস্টে ফিনিক্সকে মঙ্গলে পাঠানো হয়েছিল৷ এর আগে ১৯৯৯ সালে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা চালায়৷ কিন্তু মিশনের একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় সেই চেষ্টা বিফল হয়৷