1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভিন ঘরানার যোদ্ধা ড্রোন

১১ আগস্ট ২০০৯

লাসভেগাসের ক্যাসিনোগুলো থেকে বড়জোর ঘন্টাখানেকের পথ৷ অনেকগুলো দাঁড়িয়ে থাকা দালান যেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিখার মতোই গুরুত্বপূর্ণ৷ খুব বড় পার্থক্য মনে হচ্ছে? আজকের দুনিয়ায় যুদ্ধ এমন করেই পাল্টে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/J7TI
ছবি: AP

ঢাল-তলোয়ারের ঝনঝনানির পর বোমা-কামানের, বোমারু বিমানের গর্জন কিংবা হুঙ্কার যুদ্ধ ক্ষেত্রের পরিচিত দৃশ্য হয়ে থাকলেও ভবনগুলোকে দেখে কেই-বা মনে করবে এখান থেকে পরিচালিত হচ্ছে যুদ্ধ৷

এই ভবনগুলোতে বসেই নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যে একের পর এক ছোড়া হচ্ছে ড্রোনচালিত ক্ষেপনাস্ত্র৷ মার্কিন বিমান বাহিনীর যোদ্ধা বৈমানিক মর্গান এন্ড্রুস এধরণেরই যোদ্ধা৷ স্ত্রীকে বিদায় জানিয়ে এক টানে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন নেভাদার ছোট্ট বিমান ঘাঁটি ক্রিচে৷ মিনিট কয়েক পরই হয়তো তাঁর হাতে মারা পড়বে বিশ্বের অপর প্রান্তের কোন বিদ্রোহী বা চরমপন্থী৷ কোনো এফ সিক্সটিনে বসে এ যুদ্ধ করছেন না তিনি৷ ভূগর্ভস্থ অন্ধকার একটি কক্ষ থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি৷ দূর নিয়ন্ত্রণের সাহায্যে মনুষ্যবিহীন উড়োযান দিয়ে এন্ড্রুস লক্ষ্য যেমন ঠিক করছেন তেমনি তা ঘায়েলও করছেন৷ কখনো তিনি নিজ বাহিনীর সাহায্যের জন্য গোলা ছুঁড়তেও ভুল করছেন না৷

UAV Unbemannte Aufklärungsdrohne der US Armee
এই মনুষ্যবিহীন উড়োযান যুদ্ধের চেহারা বদলে দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও অনেক কথিত সফলতা এনে দিচ্ছেছবি: AP

এন্ড্রুস বলেন, তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের নিচে-ওপরে যারাই আছেন তাদের সবার সঙ্গেই সারাক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন রেডিওতে৷ সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার তা হলো, এত যুদ্ধ করেও এন্ড্রুসের গায়ে গুলি লাগার কেনোই আশঙ্কা নেই৷ যুদ্ধটা অনেকটাই ভিডিও গেইমসের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবুও তাঁর কাছে এটিই কুরুক্ষেত্র৷ দৃশ্যাবলীর ভেতর দিয়ে যাওয়ার কারণে থেকে বুকও কেঁপে ওঠে তাঁর৷

এই মনুষ্যবিহীন উড়োযান যুদ্ধের চেহারা বদলে দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও অনেক কথিত সফলতা এনে দিচ্ছে৷ দেশটির হাতে এখন নানান পাল্লার সাত হাজারেরও বেশি ড্রোন রয়েছে৷ ২০০৬ সালে ইরাকের আল কায়েদা নেতা আবু মুসাব আল জারকাভিকে হত্যা করা হয় ড্রোনের সাহায্যে৷ আল কায়েদার শীর্ষ ২০ নেতার অর্ধেকের বেশি জনকে হত্যার কৃতিত্ব দাবি করে ড্রোন৷

আর এ কারণে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেইটস আরো মনুষ্য বিহীন উড়োযান চান৷ ড্রোনের প্রতি তাঁর আগ্রহ প্রবল৷ ইতিমধ্যেই তিনি বলে ফেলেছেন, এফ থার্টিফাইভই হবে মানুষ চালিত যুদ্ধ বিমান৷

নতুন নতুন যেসব ড্রোনের কথা বলা হচ্ছে, তাতে নানা ধরণের নতুন প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানোর কথা আসছে৷ বলা হচ্ছে, অতি ক্ষুদ্র, মাছির সমান ড্রোন নির্মাণের৷যুদ্ধক্ষেত্রের এক সঙ্গে ৬০টিরো বেশি ভিডিও দিতে পারবে নতুন ড্রোন৷ সবদিক থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষের উপস্থিতি কমে আসছে৷

প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক