ভালুকের দাঁত অস্ত্রোপচার করল চিকিৎসকদল
মন খারাপ হলেই চিড়িয়াখানার ভালুকেরা নাকি তাদের ঘিরে রাখা লোহার শিকগুলো কামড়ায়৷ এক জংলি ভালুকের এ কারণে সব দাঁতই যেতে বসেছিল৷ ধরে এনে তার দাঁতে অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসকরা, তা-ও আবার মানুষের ডাক্তাররা৷
খাঁচার ভালুক জঙ্গলে
বাদামি এই ভালুকটির নাম ইগর৷ শৈশবটা তার চিড়িয়াখানায় কাটলেও একটু বড় হওয়ার পর সে জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল৷ কিন্তু কয়েকদিন আগে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ধরে এনে চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করে তার৷
দাঁতে অস্ত্রোপচার
ইগরের চিকিৎসা হয়েছে গত শুক্রবার, জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহর ব্রান্ডেনবুর্গে৷ প্রায় পুরোদিনই চলে যায় দাঁতের চিকিৎসায়৷ ভালুকটিকে রীতিমতো অপারেশন টেবিলে শুইয়ে অস্ত্রোপচার করেছেন দাঁতের চিকিৎসকরা৷ অস্ত্রোপচার শুরুর আগে ভালুকটিকে অচেতন করা হয়েছিল৷
মুখ খোলা সবচেয়ে কঠিন
ইগরের বয়স এখন ২১ বছর৷ এ বয়সে শরীরে যেমন বিশাল হয়েছে, শক্তিও হয়েছে প্রচুর৷ ২৫০ কিলোগ্রাম ওজনের ভালুকটিকে অচেতন করার পর চোয়ালটাও শক্ত হয়ে গেল৷ মুখই খোলা যাচ্ছিল না৷ মানুষের দাঁতের চিকিৎসায় যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, বড় আকারের সেই যন্ত্রগুলো নিয়ে গিয়েছিলেন ডেন্টিস্টরা৷ সেগুলোর সহায়তায় একসময় ভালুকের মুখ খোলা সম্ভব হলো৷
অন্য কাজ আর হলো না
সেদিন আরেকটি ভালুকের দাঁতও অস্ত্রোপচার করার পরিকল্পনা ছিল৷ কিন্তু ইগরের মুখ খুলে কাজ শুরু করতেই এতটা সময় লেগে গেল যে আর কোনো অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়নি৷
মন খারাপ হওয়া দাঁতের জন্য ক্ষতিকর!
জার্মান ন্যাশনাল পার্কের ম্যানেজার জানালেন ভালুকের দাঁতে এমন সমস্যা দেখা দেয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়৷ তিনি জানান, চিড়িয়াখানায় বন্দি ভালুকদের মন খারাপ হলেই তারা চারপাশের লোহার শিকগুলো কামড়াতে থাকে৷ আর এভাবেই ভালুকেরা তাদের দাঁতের ক্ষতি করে৷
কাকতালীয়
ইগরের যে দাঁতে সমস্যা হয়েছে তা চিকিৎসকরা ঘটনাক্রমে জানতে পারেন৷ ইগরকে হাঁটতে দেখে মনে হচ্ছিল ওর নিতম্বের হাড়ে সমস্যা হয়েছে৷ সেই হাড়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে দাঁতের সমস্যাটাও চোখে পড়ে চিকিৎসকদের৷