ভারতের রামনামী সম্প্রদায়: উলকি দিয়ে প্রতিবাদ
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তফসিল জাতির রামভক্তরা মিলে ‘রামনামী’ সম্প্রদায় সৃষ্টি করেন৷ রামনামীরা সারা শরীরে রামনাম উলকি করে থাকেন৷ এদের বাস পূর্ব ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে৷
স্বতন্ত্রতা
রামনামীরা মূলত উপজাতি ও নিম্নবর্ণের মানুষ৷ তাদের অধিকাংশ নিরক্ষর হলেও, তুলসীদাসের রামচরিতমানস তাদের কণ্ঠস্থ৷ অপরদিকে তুলসী রামায়ণে এমন অনেক পদ আছে, যা রামনামীদের বিশ্বাসের সঙ্গে মেলে না – যেমন রামনামীরা বিভিন্ন জাত বা নারী-পুরুষের তারতম্যে বিশ্বাস করেন না৷ কাজেই তারা তুলসী রামায়ণের কিছু কিছু পদ বদলে নিয়েছেন৷
ধর্মবিশ্বাস
রামনামীরা সর্বাগ্রে রামভক্ত৷ শরীরে রামনাম উলকি করিয়ে তারা সেই রামভক্তির পরিচয় দেন৷
আত্মসম্মান
নিম্নবর্ণের মানুষ হিসেবে রামনামীদের মন্দিরে প্রবেশ, বা উঁচু জাতের কুয়া থেকে জল তোলা নিষিদ্ধ ছিল৷ শরীরে উলকি কেটে তারা নিজেদের আত্মসম্মান বজায় রাখতে ও জাহির করতে চেয়েছেন৷
ভাষা
রামচরিতমানসের ভাষা হলো হিন্দি৷ রামনামীরাও রামনাম লেখেন দেবনাগরী হরফে৷
মহিলাদের ক্ষেত্রে
রামনামী মহিলারাও উলকি করান৷ সব মিলিয়ে রামনামী সম্প্রদায়ে আজ প্রায় লাখ খানেক মানুষ আছেন৷
শুধু উলকিই নয়
রামনামী সংস্কৃতির প্রাণভোমরা হলো রামনাম৷ এবং তা সর্বত্র: জামাকাপড় থেকে শুরু করে বাড়ির দেওয়াল, সব জায়গাতেই রামনাম৷
প্রজন্ম
নতুন প্রজন্মের রামনামীরা সারা শরীরে উলকি করাতে চান না৷ প্রবীণেরা বলেন, তা-তে কী হয়েছে? বিশ্বাস বজায় থাকলেই হলো৷