ভারতের পার্সিরা
ভারতে বসবাসরত পার্সি সম্প্রদায়ের ধর্ম, জীবন ও সংস্কৃতি নিয়ে সদ্য কলকাতায় হয়ে গেল এক অভিনব প্রদর্শনী, যার কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল বহমান ঐতিহ্যের ধারা৷
জাহাজে চড়ে
বলা হয়ে থাকে, পারস্যে ইসলামি আগ্রাসনের পর, ধর্মরক্ষা করতে দেশত্যাগী হয়েছিলেন পার্সিরা৷ পালতোলা কাঠের জাহাজে চড়ে তাঁরা এসে পৌঁছান ভারতের পশ্চিম উপকূলে৷
পার্সিদের প্রসার
পশ্চিম ভারত থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন পার্সিরা, যুক্ত হন আলাদা আলাদা পেশা অথবা বৃত্তিতে৷ ভারতে পার্সিদের সমাজ ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য সংরক্ষণে সচেষ্ট হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকো৷
ছবিতে ইতিহাস
ভারতে পার্সি জীবনের আদি ইতিহাস অনেকটাই হারিয়ে গেছে৷ ছবি আর রিলিফের কাজে জীবন্ত হয়েছে সেই ইতিহাস৷
দৈনন্দিন জীবন
যেসব দৈনন্দিন জিনিসপত্র ব্যবহৃত হয়ে আসছে পার্সি ধর্মীয় ও সমাজ জীবনে, তা তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীতে৷
পার্সি স্থাপত্য
স্থপতি হিসেবে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন পার্সিরা৷ মডেলের সাহায্যে বোঝানো হয়েছে তাঁদের সেই অতীত কুশলতা৷
আভিজাত্যের চিহ্ন
বিত্তবান ব্যবসায়ী শ্রেণি হিসেবে পার্সিরা এক অনন্য আভিজাত্যও অর্জন করেছিলেন৷ তারই নমুনা পার্সিদের নিত্য ব্যবহার্য আসবাবে৷
পার্সি হস্তশিল্প
হস্তশিল্পে, বিশেষত সূচিশিল্পে অতীব দক্ষ ছিলেন পার্সি মহিলারা৷ চীনা মসলিনের ওপর তাঁদের সেই জরির কাজ ছিল প্রদর্শনীর বাড়তি আকর্ষণ৷
নৈঃশব্দের মিনার
পার্সিরা মারা গেলে তাঁদের দেহ রেখে আসা হয় টাওয়ার অফ সাইলেন্সে৷ শবভোজী পাখিরা ছিঁড়ে খায়৷ অদ্ভুত রীতি এই অন্ত্যেষ্টির৷
অগ্নি উপাসক
পার্সি না হলে তাঁদের অগ্নি মন্দিরে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ৷ প্রদর্শনীতে সুযোগ পাওয়া গেল সেই মন্দিরের অভ্যন্তর কেমন হয়, তার আন্দাজ পাওয়ার৷