1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থা

মুরালি কৃষ্ণন/এসিবি৩ ডিসেম্বর ২০১৭

এক শিশুর মৃত্যুর পর প্রথমে দিল্লি, তারপর ভারত জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ৷ প্রতিবাদের কারণ, চিকিৎসার নামে অস্বাভাবিক বিল আদায়৷ ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কাছে চিকিৎসা এখন শুধুই নিষ্ঠুর এক লাভজনক ব্যবসা৷

https://p.dw.com/p/2oavQ
ছবি: Getty Images/AFP/M. Vatsyayana

গত সেপ্টেম্বরে দিল্লির গুরগাঁও এলাকার ফোর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইন্সটিটিউটে ডেঙ্গুতে মারা যায় এক শিশু৷ সাত বছর বয়সি ওই শিশুর মৃত্যুর পর তার পরিবারের কাছে চিকিৎসার খরচ হিসেবে ১৮ লাখ রুপি দাবি করা হয়৷ তা নিয়েই শুরু হয় প্রতিবাদ৷ প্রথমে ওই শিশুর এক স্বজন ২০ পাতার বিলটির অসামঞ্জস্যতাগুলো তুলে ধরে টুইট করেছিলেন৷ সেখান থেকেই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ এক পর্যায়ে বিষয়টি ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার কানে গেলে তিনি যথাযথ তদন্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন৷

কিন্তু একটি বা হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কি বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান চিত্রটা রাতারাতি বদলে যাবে? ভারতে বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা, চিকিৎসার নামে মোটা অঙ্কের বিল আদায় করে গরিব মানুষদের পথে বসানোর অভিযোগ নতুন নয়৷ কর্পোরেট হাসপাতালগুলো অর্থলোভী চিকিৎসক, ওষুধ ব্যবসায়ী আর ছোট ছোট ক্লিনিকগুলোর সহায়তায় চিকিৎসাসেবাকে যে গরিবের আতঙ্ক বানিয়ে ছেড়েছে – এই বিষয়টি গত কয়েক বছরে বহুবার বহু ঘটনার মাধ্যমে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়েছে৷ গত বছর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে গিয়ে এক বেসরকারি হাসপাতালের সিইও ধরা পড়েন৷ ২০১৫ সালে ভুল চিকিৎসার কারণে দৃষ্টিশক্তি হারান তামিলনাড়ুর এক তরুণ৷ যুগান্তকারী এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত তরুণের হাতে ২০ লক্ষ রুপি তুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার চলতি বছর একটি নতুন ক্লিনিকাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট বিধানসভায় পাস করেছে৷ এ আইনে চিকিৎসায় গাফিলতি এবং তার ফলে রোগী মারা গেলে কঠোর শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে৷

গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রি নরেন্দ্র মোদী বিশেষ করে দরিদ্রদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যখাতে জিপিপির শতকরা দুই দশমিক পাঁচ ভাগ বরাদ্দ বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন৷ কিন্তু অল ইন্ডিয়া মেডিকেল সায়েন্স-এর সাবেক পরিচালক ড. এম সি মিশ্র মনে করেন শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে, শিক্ষার হার বাড়ানো এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য বিমা৷''

প্রতিবেদন সম্পর্কে আপনার মন্তব্য লিখুন নীচের ঘরে৷