ভারতে খাদ্যমূল্য ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
১৮ ডিসেম্বর ২০০৯বন্যা এবং খরার প্রভাবে কৃষিতে অপেক্ষাকৃত কম ফলনের কারণে খাদ্যশস্যের দ্রব্যের যোগান কম থাকায় বাজারে এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে৷
এদিকে, ভারতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে নভেম্বর মাসে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশে দাঁড়ায়৷ অক্টোবর মাসেও তা ছিল ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ৷ অর্থনীতিবিদরা বলছেন এর ফলে সুদের হার বেড়ে যেতে পারে৷
খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারতের বিপুল সংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশী চাপের মধ্যে পড়বে৷ তারা আরও খাদ্য ঘাটতি এবং অপুষ্টিতে দিন কাটাতে বাধ্য হবে বলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে৷
ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিকে ‘‘উদ্বেগের বিষয়'' বলে অভিহিত করে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী বলেছেন, ‘‘আমাদেরকে দেখতে হবে যে, আমদানির মাধ্যমে যোগানের ঘাটতি পূরণ করাসহ সংকট কাটাতে আর কি কি করা যায়৷''
বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, যোগান বাড়াতে আমদানি বিধিনিষেধ শিথিল করা সত্ত্বেও খাদ্যমূল্যস্ফীতি প্রায় ২০ শতাংশে পৌঁছে গেছে৷ চাল, গম, ডাল এবং দুধসহ আলু এবং নানাধরণের সবজির দামও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে৷
গত বছরেরর তুলনায় আলুর দাম বেড়েছে প্রায় ১৩৬ শতাংশ এবং ডালের দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ৷
ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ ভারতের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ৭ শতাংশে উঠে যেতে পারে৷
প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার