1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে উইকিলিক্স কেলেঙ্কারি, পাকিস্তানে ধর্মান্ধদের দৌরাত্ম্য

২৭ মার্চ ২০১১

ভারতীয় রাজনীতি জগত সম্পর্কে উইকিলিক্স’এর দাবি এবং পাকিস্তানে মৌলবাদী শক্তির বেড়ে চলা দৌরাত্ম্য – জার্মান পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত এই দুটি বিষয় তুলে ধরা হলো৷

https://p.dw.com/p/10i7J
ছবি: AP

উইকিলিক্স কেলেঙ্কারির জের ধরে ভারতের রাজনীতি জগতে দুর্নীতির মাত্রা সম্পর্কে মন্তব্য করেছে দৈনিক ‘স্যুডডয়চে সাইটুং'৷ বিরোধীরা এই সুযোগে আবার প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং'এর সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছে৷ দৈনিক ‘দ্য হিন্দু' প্রতিদিন উইকিলিক্স থেকে চাঞ্চল্যকর যেসব বিষয় তুলে ধরছে, তা সরকারের পক্ষে মারাত্মক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ এমনকি জাপানের পরমাণু সংকট নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় পাচ্ছে না সরকার৷ মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন বার্তাকে অবশ্য প্রকাশ্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ মনমোহন সিং৷ কিন্তু সমস্যা হলো, ভারত যেভাবে বিশ্বের কাছে নিজেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে উইকিলিক্সের বক্তব্য একেবারেই মানানসই নয়৷ অর্থ বা অন্যান্য সুবিধার বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগ সেই ভাবমূর্তির উপর কালি ছিটিয়ে দেয়৷ ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি অনুমোদন করাতে সরকারও সাংসদদের ঘুস দিয়েছিল – এমন চাঞ্চল্যকর দাবিও করেছে উইকিলিক্স৷ তাতে অবশ্য শুধু সরকার নয়, বিরোধী দলগুলির দু-মুখো নীতির বাস্তব চিত্রও ফুটে ওঠে৷ যেমন বিজেপির এক নেতা নাকি মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে স্বীকার করে নিয়েছিলেন, যে শুধু সরকারকে বিপাকে ফেলতেই তারা প্রকাশ্যে এই চুক্তির বিরোধিতা করছে৷

পাকিস্তানে মৌলবাদী ইসলামের বেড়ে চলা দৌরাত্ম্য সম্পর্কে মন্তব্য করেছে দৈনিক ‘নয়েস ডয়েচলান্ড'৷ ইসলাম ধর্মের অবমাননা করলে শাস্তির বিধান রয়েছে সেদেশের কুখ্যাত ও বিতর্কিত ‘ব্লাসফেমি' আইনে৷ এই আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সম্প্রতি নিহত হয়েছেন দুই রাজনৈতিক নেতা৷ জার্মানিতে কর্মরত পাকিস্তানি অধ্যাপক সৈয়দ উইকার আলি শাহ মনে করেন, বর্তমান এই কট্টরপন্থী মনোভাব পাকিস্তান রাষ্ট্রের মূল ভাবধারার পরিপন্থী৷ তাছাড়া দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ধর্মের প্রশ্নে যথেষ্ট নরমপন্থী৷ তারা সন্ত্রাসবাদীদের দেশের শত্রু হিসেবে গণ্য করেন৷ কিছু ধর্মভিত্তিক দল মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মতো সমস্যা নিজেদের পক্ষে কাজে লাগিয়ে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে চলেছে৷ দেশে শিক্ষার অভাব তাদের এই প্রচেষ্টাকে আরও সহজ করে তুলছে৷ সরকারও ‘ব্লাসফেমি' আইন প্রত্যাহারের মতো বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস পাচ্ছে না – সৈয়দ উইকার আলিকে উদ্ধৃত করে এই মন্তব্য করেছে ‘নয়েস ডয়েচলান্ড'৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম