1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-চীন সম্পর্ক

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৭ মে ২০১৩

ভারত-চীন সীমান্ত থেকে ২০ দিন পর সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে চীন৷ তবে ভারতকেও তার বিপরীত দিক থেকে সেনা সরাতে হবে৷ কোন শর্তে চীনের অনড় অবস্থানের পরিবর্তন হলো, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে৷

https://p.dw.com/p/18T1S
ছবি: Getty Images/Daniel Berehulak

অবশেষে লাদাখের দৌলতবাগ ওল্ডি সেক্টর থেকে চীন তার সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে৷ গত রবিবার দুদেশের সেক্টর কমান্ডার স্তরে শেষবারের ফ্ল্যাগ মিটিংএ স্থির হয় যে, ঐ এলাকায় চীনা ক্যাম্পের বিপরীত দিকে ৩০০ মিটার দূরে মোতায়েন ভারতীয় সেনাকেও একই সঙ্গে সরে যেতে হবে৷ ভারতের অভিযোগ ছিল, গত ১৫ই এপ্রিল থেকে চীনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৯ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে৷ চীনের দাবি, ঐ এলাকা ভারতের নয়৷ কাজেই ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের অভিযোগ অবান্তর৷

সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর চীনের তরফে বলা হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সহযোগিতা ও গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে আপোশে তা মিটমাট করে নেয়া হয়েছে৷ তবে চীন চায়, যত শীঘ্র সম্ভব ন্যায্য ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য ভিত্তিতে সীমান্ত প্রশ্নের মীমাংসা৷

দিল্লির রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে যে ধন্দ রয়ে গেছে, সেটা হলো কী কী শর্তে চীনের অনড় অবস্থানের পরিবর্তন হলো? কেন চীন ২০ দিন পর হঠাৎ সেনা প্রত্যাহারে রাজি হলো? আপোশ রফার শর্তাদি এখনো কেন প্রকাশ করা হয়নি? বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীন বিনা শর্তে রাজি হয়নি৷ ভারতের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করার পরই রাজি হয়েছে৷ সেটা কী হতে পারে? সম্ভবত, বিতর্কিত ঐ এলাকার ওপর ভারত তার দাবির সঙ্গে আপোশ করেছে৷

Grenzkonflikt Indien China Ladakh
ভারত-চীন সীমান্ত বোঝাপড়া নিয়ে নানা প্রশ্নছবি: Rouf Bhat/Afp/Getty Images

কারণ ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, ঐ এলাকা ভারতের৷ তাই যদি হয়, তাহলে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? চীনের আরও দাবি, সীমান্তের অগ্রবর্তী স্থানে ভারতীয় বাংকার ভেঙে ফেলতে হবে এবং ঐ এলাকায় ভারতের অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং সুবিধা নিষ্ক্রিয় রাখতে হবে৷ অর্থাৎ ৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর থেকে লাদাখ অঞ্চলে চীন-ভারত সীমান্তে যে স্থিতাবস্থা ছিল, তা থেকে সরে আসা৷ অথচ চীন ঐ অঞ্চলে যাতে দ্রুত সেনা মোতায়েন করতে পারে, তার যাবতীয় অবকাঠামো সুষ্ঠুভাবে তৈরি করে গেছে চীন৷ কিন্তু ভারতের দিকে অনুরূপ অবকাঠামো নির্মাণ স্থগিত রাখার চীনা শর্ত যদি ভারত মেনে নিয়ে থাকে, তাহলে সেটাই হবে চীনা সেনা প্রত্যাহারে ভারতের মূল্য? তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অযথা জল্পনার সুযোগ না দিয়ে সরকারের উচিত কী শর্তে সমঝোতার হয়েছে তা প্রকাশ করা৷

পরিস্থিতির আপাত উন্নতি হওয়ায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ৯ই মে-র নির্ধারিত বেইজিং সফর এবং ২০ মে চীনা প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর বহাল আছে৷ কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে ভারত নরম মনোভাব নিলেও পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠায় ভারত কূটনৈতিক পথে চীনকে হুঁশিয়ার করে দেয় যে, এর সমাধান না হলে অন্যান্য ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হবে না৷ পারস্পরিক সফর বাতিল হলে চীন পড়বে অস্বস্তিতে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য