1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট: কারো সর্বনাশ, কারো পৌষ মাস

২১ এপ্রিল ২০১৭

ব্রেক্সিট গণভোটের দশ মাস পরে এখন ধীরে ধীরে বোঝা যাচ্ছে, ব্রিটেনবাসীদের বিদেশ ভ্রমণ, ছুটি কাটানো অথবা দৈনন্দিন কেনাকাটার উপর তার কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/2bg1U
UK | Theresa May empfängt EU Parlaemtspräsident Antonio Tajani
ছবি: Reuters/T. Melville

ব্রিটেনবাসী চিরকালই ইউরোপ-অ্যামেরিকা বেড়াতে ভালোবাসে৷ কিন্তু ব্রেক্সিট গণভোটের পর ব্রিটিশ পাউন্ড নেমেছে ডলারের হিসেবে ২০ শতাংশ, ইউরোর হিসেবে ১৬ শতাংশ৷ এখন সেই মূল্যহ্রাস কমে ডলারের ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ আর ইউরোর ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ হলেও, ব্রিটিশ ক্রেতারা যে তাদের পাউন্ড দিয়ে কত বেশি পণ্য বা পরিষেবা কেনা যায়, তার পন্থা খুঁজছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

তার প্রথম প্রমাণ হলো, ব্রিটেনবাসী স্বদেশে ছুটি কাটানোর দিকে ঝুঁকছেন: ‘লোকেশান'-এর পরিবর্তে ‘স্টেকেশান' বুক করছেন৷ ‘স্টেকেশান' কথাটি এসেছে ‘স্টে' অথবা ‘থাকা', অর্থাৎ দেশে থাকা থেকে৷ ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ছুটি কাটানোর কেবিনগুলি বুক করার জন্য নাকিজুন মাসের গণভোটের পর থেকেই টেলিফোন বাজতে শুরু করে, রয়টার্স সংস্থাকে বলেছেন এক কেবিন মালিক৷

মূল্যবৃদ্ধি

 

২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের আর্থিক সংকটের পর ব্রিটেনে বাৎসরিক মূল্যবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশে পৌঁছায়৷ এখনও মূল্যবৃদ্ধি তিন শতাংশের দিকে এগোচ্ছে, অপরদিকে বেতন ও পারিশ্রমিক বৃদ্ধির হার কমে এসেছে৷ মূল্যবৃদ্ধির একটি কারণ স্বভাবতই স্টার্লিংয়ের মূল্যহ্রাস, যার ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়েছে৷

২০১৭ সালের প্রথম তিন মাসে ব্রিটেনে খুচরো বিক্রি বেড়েছে বিগত দশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মন্থর হারে৷ আর্থিক সংকটের সময়েও ব্রিটেনে দুই জার্মান সুপারমার্কেট গ্রুপ আলডি ও লিডল-এর বিক্রি বেড়েছিল৷ ২০১৭-তেও তা-ই ঘটছে, জানিয়েছেন ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডে আলডি-র সিইও ম্যাথিউ বার্নস৷

‘স্টেকেশান'

গতমাসে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর মার্ক কার্নি স্বয়ং উল্লেখ করেন যে, ব্রিটেনের গ্রাহকরা যে কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন, স্টেকেশানের চাহিদা বৃদ্ধি তার একটা নমুনা৷

‘ভিজিট ইংল্যান্ড' টুরিজম এজেন্সির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালে যেখানে ৫৭ শতাংশ ব্রিটেনবাসী ইংল্যান্ডে ছুটি কাটানোর কথা ভাবছিলেন, ২০১৭ সালে তাদের অনুপাত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশে৷ আরো অনেকে যাবেন স্কটল্যান্ড, ওয়েলস বা উত্তর আয়ারল্যান্ডে৷

ব্রিটেনবাসীরা যে বিদেশযাত্রা পরিত্যাগ করেছেন, এমন নয়৷ ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস অবধি তিন মাসে যুক্তরাজ্যের অধিবাসীদের বিদেশযাত্রার পরিসংখ্যান ৮ শতাংশ বেড়েছে৷ কিন্তু ঐ একই সময়ে ব্রিটেনে বিদেশি পর্যটকদের আগমন বেড়েছে ২২ শতাংশ, যার কারণ স্বভাবতই দুর্বল পাউন্ড৷

২০১৭ সালের মার্চ অবধি ছয় মাসে ব্রিটেনের লাক্সারি ব্র্যান্ড বারবেরি-র মার্কিন খদ্দেরদের সংখ্যা বেড়েছে ৯০ শতাংশ৷ এখানেও কারণ, দুর্বল পাউন্ড

চিন্তায় পড়েছে শুধু ইউরোপের বৃহত্তম বাজেট এয়ারলাইন ‘রায়ানএয়ার'৷ তারা দেশের বাইরে তাদের ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছে৷ অন্যদিকে টিকিটের দাম কমিয়ে খদ্দের ধরার চেষ্টা করছে রায়ানএয়ার ও তাদের প্রতিযোগীরা৷

এসি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)