1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনে ইউরোপ বিমুখিতা

১৬ নভেম্বর ২০১৩

যুক্তরাজ্যে যে আজও ইইউ-কে গালিগালাজ দিয়ে ভালো হাততালি পাওয়া যায়, সে কথা জানেন ব্রিটেনের রাজনীতিকরা৷ কিন্তু ব্রিটেন ইইউ ছাড়লে প্রধানত ক্ষতি হবে ব্রিটেনের শিল্প-বাণিজ্যের, ব্যবসায়ী মহলের তা-ই মত৷

https://p.dw.com/p/1AIId
EXETER, ENGLAND - MARCH 23: UKIP party leader Nigel Farage makes his keynote speech to the UKIP 2013 Spring Conference being held in the Great Hall, Exeter University on March 23, 2013 in Exeter, England. Buoyed by recent successes including the by election in Eastleigh where they came second, the party is claiming it is the only one with alternative policies and a vote for UKIP is no longer just a protest vote. (Photo by Matt Cardy/Getty Images)
ছবি: Getty Images

‘‘ইউরোস্কেপটিসিজম'' বা ইউরো-নিন্দা এমন একটি শব্দ, যা স্ট্রাসবুর্গের করিডরে শোনা যাবে না – ইউরোপীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন নাইজেল ফারাজ, ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টির নেতা৷ অথচ এটা একটি দেশের জাতিগত সত্তার ‘‘সাধারণ, বাস্তববুদ্ধিসম্মত বহিঃপ্রকাশ'' ছাড়া আর কিছু নয়, বলে ফারাজ মনে করেন৷

‘‘আমরা জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রের এক ইউরোপে বাঁচতে, কাজ করতে, নিঃশ্বাস নিতে চাই৷ আমরা একসঙ্গে ব্যবসা করতে চাই, সহযোগিতা করতে চাই৷ বাস্তবসম্মত, সাধারণ যৌথ মানদণ্ড সম্পর্কে একমত হতে পারলে আমরা খুশি এবং হ্যাঁ, আমরা আমাদের নিজেদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, যা যে কোনো জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রের পক্ষে একটি বাস্তববুদ্ধিসম্মত, যুক্তিযুক্ত কর্তব্য,'' বলেন ফারাজ৷

যুক্তরাজ্যে মনোভাবটি নতুন নয়৷ ২০০৭ সালেই তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, লেবার দলের গর্ডন ব্রাউন সেই স্মরণীয় প্রতিশ্রুতি দয়েছিলেন: ‘‘ব্রিটিশ শ্রমিকদের জন্য ব্রিটিশ চাকুরি৷'' আবার এই ২০১৩ সালে ব্রিটেনের রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন কারখানা শ্রমিকদের সমীপে বলেছেন, ব্রিটেনের পূর্ব ইউরোপ থেকে আগত শ্রমিকদের প্রতি ‘‘না'' বলা উচিত৷ এমনকি ক্যামেরন মন্তব্য করেন যে, ‘‘আজ আমাদের দেশে এমন কারখানা আছে, যেখানকার অর্ধেক শ্রমিক পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া কিংবা লাটভিয়া থেকে এসেছে''৷ ২০১৪ সাল থেকে আবার রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার মানুষরা স্বাধীনভাবে ইইউ-তে আসার ও কাজ করার সুযোগ পাবেন৷

Europaparlament Haushaltsdebatte vor dem EU Gipfel
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ফারাজ দাবি করেন যে, অভিবাসন ২০১৪ সালের ইউরোপীয় নির্বাচনে ‘‘কেন্দ্রীয় বিষয়'' হবেছবি: Patrick Hertzog/AFP/Getty Images

নাইজেল ফারাজ গত সপ্তাহেই ‘‘বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়ার জন্য আমাদের সীমান্ত খুলে দেওয়া'' সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ সাধারণভাবেই তিনি – এবং অন্যান্য হাওয়া-গরম-করা ব্রিটিশ রাজনীতিকরা – পূর্ব ইউরোপ থেকে অভিবাসনের বিরুদ্ধে: অভিবাসীরা নাকি ব্রিটিশ নাগরিকদের কাছ থেকে চাকরি, সামাজিক সুযোগসুবিধা এবং অন্যান্য ভাতা ‘‘চুরি'' করে থাকে৷

ফারাজ ইইউ-এরই একটি জরিপ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘ব্রিটেনে ছ'লাখ পূর্ব ইউরোপীয় বাস করছে, যারা অর্থনৈতিক বিচারে কিছুই করে না, কিন্তু আমাদের নিজেদের সরকার সে সম্পর্কে উচ্চবাচ্য করে না''৷ ফারাজ দাবি করেন যে, যুক্তরাজ্য বর্তমানে পঞ্চাশ হাজার শিশুদের জন্য ভাতা দেওয়া হচ্ছে, যে সব শিশুরা ব্রিটেনে বাস পর্যন্ত করে না৷ অথচ এ জন্য ব্রিটেনের সপ্তাহে দশ লক্ষ পাউন্ড ব্যয় হচ্ছে, বলেন ফারাজ৷

ফারাজ দাবি করেন যে, অভিবাসন ২০১৪ সালের ইউরোপীয় নির্বাচনে ‘‘কেন্দ্রীয় বিষয়'' হবে৷ আরে বড় কথা, ব্রিটেন ইইউ-তে থাকবে কিনা, সে বিতর্কেরও কেন্দ্রীয় বিষয় হবে ঐ অভিবাসন সমস্যা৷ ক্যামেরনের নিজের দল কনজারভেটিভদের মধ্যেও ফারাজের মনোভাব সম্বলিত সদস্যের অভাব নেই৷ বলতে কি, ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টির জনপ্রিয়তা এখন রক্ষণশীলদের সমর্থনে ভাগ বসাতে শুরু করেছে৷

ব্রিটিশ বিজনেস লবি-র দৃষ্টিকোণ থেকে এই ইউরোপ বিমুখিতা ভালো কথা নয়৷ শিল্পবাণিজ্যের কর্ণধারদের ধারণা, পঞ্চাশ কোটি গ্রাহকের ইউরোপীয় বাজারে পণ্য ও পরিষেবা বেচতে পারাটা ব্রিটেনের অর্থনীতির পক্ষে সর্বাপেক্ষা ইতিবাচক উপাদান হিসেবে কাজ করেছে৷ এছাড়া ব্রিটেনের ইইউ সদস্যতা বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ফাইন্যান্সিয়াল কেন্দ্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের সুনাম বজায় রাখতে সাহায্য করছে৷

এমা ওয়ালিস/এসি
দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য