1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইকোসিস্টেম সুরক্ষার উদ্যোগ

মিশায়েল ভেৎসেল/এসবি১০ মে ২০১৪

ব্রাজিলের মতো বিশাল দেশের অনেকটা জুড়েই অ্যামাজন রেন ফরেস্ট-এর মতো বনাঞ্চল৷ সেখানকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সহজ কাজ নয়৷ অভিনব এক কর্মসূচির মাধ্যমে সেই প্রচেষ্টাই চালানো হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1Bx6E
Brasilianische Araukarie
ছবি: Leoadec

গাছের গুঁড়ির মাপ ৮৬ সেন্টিমিটার৷ ব্রাজিলের প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের জীববিজ্ঞানীরা সবার আগে এমন এক গাছ পরিমাপ করছেন৷ মনিটরিং কর্মসূচি এভাবেই শুরু হচ্ছে৷ এই সংরক্ষিত এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনো নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই৷ এখানকার ইকোসিস্টেমের বিকাশ কী রকম হচ্ছে? জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কী? এখনো পর্যন্ত শুধু অনুমান করা হয়ে এসেছে৷ বায়োলজিস্ট ভিক্টর লিমা বলেন, ‘‘অনেক গাছ আবহওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল৷ কিছু গাছ বড় হয় না বা তারা পুরোপুরি উধাও হয়ে যায়৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তারা ইকো-সিস্টেমের মধ্যে তাদের জায়গা হারিয়ে ফেলে৷'' আরেক বায়োলজিস্ট নায়ারা স্টাচেস্কি বললেন, ‘‘আমাদের মনিটরিং কর্মসূচি ঠিক সেটাই দেখাতে চলেছে৷ এই জঙ্গলে কী প্রভাব দেখা যাচ্ছে? এখনো তা জানি না বটে, তবে আমাদের বিশ্বাস, প্রভাব অবশ্যই পড়ে৷''

এখানেও ট্রপিকাল অঞ্চলের আর্দ্রতা অনুভব করা যায়৷ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী এখানে বসবাস করে৷ সংরক্ষিত এলাকার আয়তন প্রায় ৭৫০ বর্গ কিলোমিটার, আয়তন প্রায় বার্লিনের মতো৷ এখানে সবকিছু মাপজোক করা বা গণনা করা অসম্ভব৷ বিজ্ঞানীরা তাই ‘বায়ো ইন্ডিকেটর'-এর প্রতি মনোযোগ দিচ্ছেন৷ অর্থাৎ এমন প্রজাতি, যাদের মাধ্যমে অন্যান্যদের বিষয়ে আরও জানা যায়৷

স্তন্যপায়ী প্রাণীরাও তাদের মধ্যে রয়েছে৷ হয়ত একটি জাগুয়ার পাস দিয়ে চলে গেল৷ নায়ারা স্টাচেস্কি বলেন, কয়েকজন সহকর্মী বাঘ দেখেছেন, তিনি শুধু পায়ের চিহ্ন দেখেছেন৷ ভিক্টর লিমা মনে করেন, জাগুয়ার রাতের প্রাণী৷ এমন বিস্ময় দেখার সৌভাগ্য ক'জনেরই বা থাকে!

ব্রাজিলের পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ জার্মানির জিআইজেড-এর সঙ্গে এই মনিটারিং কর্মসূচি গড়ে তুলেছে৷ জার্মান উন্নয়ন সংস্থার দুই সহকর্মী ব্রাসিলিয়ায় আঞ্চলিক দপ্তরে বসে দুই বছর ধরে প্রস্তুতির কাজ করেছেন৷ অবশেষে তাঁরা নিজেরা জঙ্গল পরিদর্শনে এসেছেন৷ সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় পার্কের প্রধান৷

আগে নদী ছিল মাছে ভরা৷ তারপর কাছেই একজন বিজাতীয় মাছের চাষ শুরু করে৷ সেই মাছ কোনোভাবে নদীতে এসে বাকি মাছেদের খেয়ে ফেলে৷ এখন আর মাছ প্রায় দেখাই যায় না৷ এত সহজেই কোনো প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে৷ তবে এখনো এখানে অনেক কিছু দেখার আছে৷ যেমন কাঠের মতো দেখতে পোকা৷ অথবা সাঁতরে চলা টেপির৷ পার্কের প্রধান সান্দ্রো দা সিলভা পেরেইরা বলেন, ‘‘পার্কের মধ্যে কোনো প্রাণী স্বচ্ছ পানিতে থাকলে খালি চোখেই তাদের দেখা যায়৷ জলপ্রপাতগুলিও খুব সুন্দর৷ পানিতে স্নান করার আনন্দই আলাদা৷ ফলে আমি খুবই সন্তুষ্ট৷''

জিআইজেড-এর কর্মী ইয়ান ক্লাইনে ব্যুনিং-ও তাই মনে করেন৷ তিনি বললেন, ‘‘সত্যি খুব আনন্দ হয়েছে৷ সত্যি অনবদ্য এক জায়গা৷ যাতায়াত সহজ নয়, তবে তাতে কী এসে যায়!''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য