1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাপক হারে ভোট পড়ল পশ্চিমবঙ্গে

৪ মে ২০১১

আগের তিন দফার মতো, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার চতুর্থ দফার ভোটেও ব্যাপক হারে ভোট পড়ল৷ নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায়, এবারও ভোট হল শান্তিতে৷

https://p.dw.com/p/118Uv
A security officer stands guard, as voters display their election identity cards as they stand in a queue to cast their votes outside a polling station at Ranti, in Madhubani district of Bihar state, India, Thursday, Oct. 21, 2010. Polling began Thursday morning for the first phase of elections to the Bihar state Assembly amid heavy security, according to a news agency. (AP Photo/Prashant Ravi)
ফাইল ছবিছবি: AP

হাওড়া, হুগলি, এই দুই জেলা এবং সেই সঙ্গে বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশে, মোট ৬৩টি বিধানসভা আসনে ভোট হল মঙ্গলবার৷ ছয় দফায় বিভক্ত নির্বাচন পর্বের চতুর্থ দফায়৷ মোট এক কোটি ২৬ লক্ষ ভোটারের প্রায় ৮৫ শতাংশ এদিন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন৷ চার জেলার ১৫,৭১১টি ভোটকেন্দ্রে ৩৬৬ জন প্রার্থীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারন করলেন তাঁরা৷ আগের তিন দফার মতো এবারও ভোট হল অবাধ ও শান্তিপূর্ণ, ভোট পড়ল ব্যাপক হারে৷ বর্ধমানে ভোট পড়ল ৮৮.২৪ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮৯.৫০ শতাংশ এবং হুগলিতে ৮০.০৬ শতাংশ৷ চার জেলায় সন্ধে ছটা পর্যন্ত গড়ে ৮৫ শতাংশ ভোট নথিভুক্ত হয়েছে যা সর্বশেষ হিসেবে ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷

এই দফায় ভোট হল সমসাময়িক রাজ্য-রাজনীতির সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুই জায়গা, যেখান থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু, সেই সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে৷ হুগলির সিঙ্গুরে টাটাদের এক লাখি ন্যানো গাড়ির কারখানা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রস্তাবিত কেমিকেল হাবের বিরুদ্ধেই মমতার মা-মাটি-মানুষের আন্দোলনের শুরু, যা এবারের ভোটে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্টকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে৷

রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন এই চতুর্থ দফায়৷ যাঁদের মধ্যে আছেন শিল্প মন্ত্রী নিরুপম সেন, উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরী, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী মহন্ত চট্টোপাধ্যায়, কৃষি মন্ত্রী নরেন দে এবং দমকল মন্ত্রী প্রতীম চট্টোপাধ্যায়৷ দৌড়ে ছিলেন তিন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা রচপাল সিং, এইচ এ সফি এবং সুলতান সিং৷ তিন জনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী৷ তৃণমূল এই ৬৩ আসনের ৫৯টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল৷ জোটসঙ্গী কংগ্রেসের জন্য ছেড়েছিল মাত্র চারটি আসন৷ অন্যদিকে ৬৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি৷

তবে এবারের ভোটেও অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রশংসা প্রাপ্য হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের৷ বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত কিছু উত্তেজনা বাদ দিলে, যে নিখুঁত ব্যবস্থাপনায় কমিশন এবারও ভোট পরিচালনা করল, তাতে বেনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারবে না কোনও দলই৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়