1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাটারিচালিত গাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব

১৩ অক্টোবর ২০১৭

পরিবেশ দূষণ কমাতে ইলেকট্রিক গাড়ির প্রচলন বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে৷ তবে এই প্রযুক্তি এখনো বড় আকারে প্রয়োগের সময় আসেনি৷ অস্ট্রিয়ার এক কোম্পানি বিশেষ ব্যাটারি কাজে লাগিয়ে এ ক্ষেত্রে বিপ্লব আনছে৷

https://p.dw.com/p/2ll83
Inger Sethov Elektroauto
ছবি: DW/L.Bevanger

ব্যাটারিচালিত গাড়ির ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়ার বিপ্লব

ডিডাব্লিইউ'র প্রতিবেদক ক্রিস্টিয়ান রমান অস্ট্রিয়ার লিনৎস শহরে ব্যাটারি শিল্পে এক বিপ্লব পর্যবেক্ষণ করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা ফলক্সভাগেন কোম্পানির ক্যাডি মডেলে চলেছি৷ ক্রাইসেল কোম্পানি তাতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বসিয়েছে৷ গাড়ি চালিয়ে কতটা আনন্দ পাওয়া যাচ্ছে, সেটা মূল বিষয় নয়৷ ব্যাটারি চার্জ করে অনেক দূর যাওয়া যায়৷ এই কোম্পানি বাকিদের তুলনায় ব্যাটারিকে অনেক বেশি উপযোগী করে তুলেছে৷ সেটাই এখন পরখ করে দেখছি৷''

ক্রাইসেল কোম্পানিকে সবার আগে একটা গোটা কারখানা তৈরি করতে হয়েছে৷ প্রতিষ্ঠার মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই বড় বড় গাড়ি কোম্পানিগুলি তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে লাইন লাগিয়েছে৷ ক্রাইসেল ইলেকট্রিকের প্রতিষ্ঠাতা মারকুস ক্লাইসেল বলেন, ‘‘এমন এক ব্যাটারির মধ্যে প্রায় ৫,০০০ সেল বসানো আছে৷ আমাদের প্রযুক্তি সেই সেলগুলি অত্যন্ত কার্যকরভাবে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে৷ কারণ, এভাবে যুক্ত হলেই পুরো শক্তি পাওয়া যায়৷ সবচেয়ে দারুণ বা কঠিন বিষয় হলো, রেজিস্টেন্স কমে যায়৷ কারণ, বিভিন্ন কোষের মধ্যে ঘর্ষণে শক্তিক্ষয় হয়৷ এক বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা সেই সমস্যার অনেকটা সমাধান করতে পেরেছি৷ বাজারে আমরাই প্রায় সেরা৷ অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, আমাদের ব্যাটারির ক্ষমতা ১০ শতাংশ বেশি৷''

এই সাফল্যের ফলে ইলেকট্রিক গাড়ি চালানো আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এবং ই-কারের সংখ্যা বাড়লে ২০৫০ সালের মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা অনেক সহজ হবে৷ মারকুস ক্লাইসেল বলেন, ‘‘ব্যাটারি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আজ আমাদের হাতে সমাধানসূত্র এসেছে৷ অবশ্যই ১০, ২০ বা ৩০ বছরে আরও নতুন প্রযুক্তি আসবে, যা আরও উন্নত ও যার চাহিদাও কম হবে৷ কিন্তু এখনই শুরু না করলে ২০৫০ সালের মধ্যে লক্ষ্য পূরণ করা যাবে না৷ মূলত এই কারণে আমরা এটা করতে চাই৷ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা ভালো কিছু রেখে যেতে চাই৷ বলতে চাই, আমরা কমপক্ষে চেষ্টা করেছিলাম৷''

শখের বশে নিজেদের গ্যারেজেই কাজ শুরু করেন তাঁরা৷ যে কোনো গাড়িকেই যে সঠিক ব্যাটারি প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-কারে পরিণত করা যায়, মার্কুস ক্রাইসেল ও তাঁর দুই ভাই সেটা দেখাতে চেয়েছিলেন৷ মারকুস ক্লাইসেল বলেন, ‘‘গাড়িতে তার মূল ৭টি গিয়ার, ডুয়াল ক্লাচ গিয়ার সিস্টেম বজায় রাখা হয়েছে৷ ইলেকট্রিক ইঞ্জিনটি সেভাবেই সাজানো হয়েছে৷ ফলে গিয়ার বদলানোও সহজ থাকছে৷ গতি বাড়ানোর মজাই আলাদা৷ ঘণ্টায় দেড়শ' কিলোমিটার বেগে চলার সময়ে ফিফথ গিয়ার দিলাম, তারপর ২০০ কিলোমিটার ছুঁয়ে সিক্সথ গিয়ার দিলাম৷ এভাবে ইলেকট্রিক গাড়িও যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী হিসেবে চালানো যায়৷ বড় আকারে এই ব্যাটারির উৎপাদন শুরু হতে পারে৷ আলোচনা চলছে৷''

এগার্স/রমান/এসবি