বোলাররা ডোবালো বাংলাদেশকে, জয়ী ভারত
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১৩৭০ রান তুলতে ভারতকে খরচ করতে হয়েছে মাত্র চারটি উইকেট৷ ম্যাচের শুরুতেই টাইগারদের তুলাধুনা করে বীরেন্দর শেবাগ এবং শচীন টেন্ডুলকার৷ উদ্বোধনী জুটি ৬৯ রান সংগ্রহ করে ১০ ওভারে৷ এরপর ব্যক্তিগত ২৮ রানের মাথায় টেন্ডুলকার রান আউট৷ হাল ধরেন শেবাগ৷ ১৪০ বল খরচ করে রান তোলেন ১৭৫৷ তৃতীয় উইকেট জুটিতে শেবাগ এবং কোহলির সংগ্রহ ২০৩ রান৷ সাতচল্লিশতম ওভারে টাইগারদের অধিনায়ক সাকিব আল-হাসান শেবাগকে বোল্ড করেছেন ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে তিনি তাঁর ম্যাচ সাফল্যের চূঁড়ায় পৌঁছে গেছেন৷ এছাড়া ভারতীয় দলের অপর খেলোয়াড় ভিরাট কোহলি অপরাজিত ছিলেন ১০০ রানে৷ ৮৩ বল খেলে এই রান করেন তিনি, এরমধ্যে চারের মার আছে আটটি, ছয় দু'টি৷
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চমক দেখায় বাংলাদেশ৷ উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রান তোলে স্বাগতিকরা৷ এরপর ইমরুল কায়েস আউট, ৩৮ রানে৷ বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন তামিম ইকবাল, ৭০৷ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৫৫ রান করে আউট হন৷ গড়পড়তায় অন্য ব্যাটসম্যানরা ভালো খেললেও ৩৭০ রানের পাহাড় টপকানো সম্ভব হয়নি৷ বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ২৮৩ রানে৷ ৮৭ রানে জয়ী ভারত৷
এর আগে সকালে টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল-হাসান৷ ঢাকার মিরপুরে যে মাঠে খেলা হচ্ছে, তাতে এই সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করছেন কেউ কেউ৷ কেননা, এই মাঠে দিবারাত্রির ম্যাচে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জয়ী হয়েছে পরে ব্যাটিং করা দল৷ তবে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছেন, ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী৷ কেননা, ফেব্রুয়ারি মাসে এই মাঠ দিনে ব্যাটিংয়ের জন্য বেশি উপযোগী৷
ক্রিকেট বোদ্ধারা এই হারের পেছনে বাংলাদেশের দুর্বল বোলিংকে দূষছেন বেশি৷ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য বোলার, বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে সফল বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজা বিশ্বকাপ দলে খেলার সুযোগ পাননি৷ টাইগাররা এর আগে দু'বার ভারতের বিরুদ্ধে জিতেছিল৷ সেই দুই খেলাতে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ছিলেন মাশরাফি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস