1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেআইনি ডাউনলোডের বাজার

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কোটি কোটি মানুষ বেআইনিভাবে মুভি, টিভি শো আর মিউজিক স্ট্রিম করে চলেছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্টার্ট-আপ এখন এ সব বেআইনি ডাউনলোডারদের তথ্য সংগ্রহ করছে একটা নতুন বিজ্ঞাপনের বাজার সৃষ্টির আশায়৷

https://p.dw.com/p/1K2t4
জার্মানির মিউনিখে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
ছবি: Filmfest München/Christian Rudnik

কথায় বলে, জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা৷ পুঁজিবাদ, বিশ্বায়ন আর মুনাফাবাজির ক্ষেত্রেও বোধহয় কথাটা প্রযোজ্য৷ ইন্টেলেকচুয়াল কনটেন্ট চুরি করার চেয়ে বড় পাপ আর কিছু নেই, এটাই এতদিন শোনা যেত৷ কিন্তু সবাই যে কাজ করে, সেটাকে কি চুরি বলা যায়, না চুরি বলার কোনো অর্থ হয়? ইন্ডাস্ট্রিকে এমনিতেই তা নিয়ে মাথা ঘামাতে হচ্ছিল, এর মধ্যে আবার ভুঁইফোড় কিছু স্টার্ট-আপের মাথায় ‘আইডিয়া' খেলেছে, এত লোক দেখছে – তা চোরাই মাল হোক আর না হোক, সেখানে তো বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে? মানে নিজেরা নয়, অন্যান্য বড় বড় ব্র্যান্ড তো বিজ্ঞাপন দিতে আগ্রহী হতে পারে?

সেজন্যে প্রথমেই দরকার ডাটা বেস, অর্থাৎ কী পরিমাণ জনতা এই বেআইনি ডাউনলোড ও স্ট্রিমিং-এর কাজটা করছেন, তাদের – ও তাদের গ্রাহকস্য গ্রাহকদের পছন্দ-অপছন্দই বা কী৷ কাজেই ‘ট্রু অপটিক'-এর মতো কিছু নতুন স্টার্ট-আপ বেআইনি ডাউনলোডারদের ডিজিটাল পদচিহ্ন অনুসরণ করতে শুরু করেছে৷ তিন বছরে তারা ৫০ কোটি মানুষের একটি ডাটা বেস তৈরি করেছে: এই সব মানুষ বিটটরেন্ট ও অন্যান্য ফাইলশেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন শো ও মুভি বেআইনিভাবে ভিউ অথবা শেয়ার করে থাকেন৷ এই ডাটার সঙ্গে জোড়া আছে অপরাপর ইউজার ডাটা, যেমন তারা কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেন, জিপ কোড ও কেনাকাটার ফিরিস্তি৷

এ বছর ট্রু অপটিক ‘মাইন্ডশেয়ার' নামের একটি মিডিয়া সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে৷ নিউ ইয়র্কের এই এজেন্সিটি গ্রুপএম-এর একটি বিভাগ, যাদের মালিক আবার ডাব্লিউপিপি, একটি গ্লোবাল অ্যাডভার্টাইজিং ও পাবলিক রিলেশনস কোম্পানি৷ মাইন্ডশেয়ার ট্রু অপটিকের সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করছে নতুন ধরনের মুভি ও শো-র আইডিয়া শনাক্ত করার জন্য – যা থেকে তাদের মিডিয়া গ্রাহকরা জানতে পারবেন, বিশেষ বিশেষ ধরনের মুভি ও শো-র ফ্যানদের কাছে কী ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে৷

উদাহরণস্বরূপ, মাইন্ডশেয়ার নাকি ট্রু অপটিকের কাছ থেকে পাওয়া ডাটা বেস ঘেঁটে বার করতে পেরেছে যে, ওয়েস্টার্ন অথবা সায়েন্স ফিকশনের অনুরাগীরা ছবির নায়ক-নায়িকাদের একটি ‘ডিস্টোপিয়ান বিকল্প বাস্তবে' পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে চান৷ ডিস্টোপিয়া হলো ইউটোপিয়ার ঠিক উলটো পিঠ৷ ইউটোপিয়ায় যেমন সব কিছু আদর্শ, সব কিছু ভালো, ডিস্টোপিয়ায় ঠিক তার উল্টো৷ কাজেই মাইন্ডশেয়ার এই ‘মার্কেট সেগমেন্টেশন' ব্যবহার করে তাদের মিডিয়া ক্লায়েন্টদের পরামর্শ দিতে পারবে, তারা কিভাবে ঐ ধরনের মুভি ও শো-গুলি ‘প্লেস করবেন, অর্থাৎ বিজ্ঞাপন দেবেন৷

মাইন্ড শেয়ার-এর ক্লায়েন্টদের মধ্যে স্বভাবতই বেআইনি ডাউনলোডকারীরা স্বয়ং পড়েন না, বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন মাইন্ডশেয়ার ওয়ার্ল্ডওয়াইড-এর ওভারসিজ কাস্টমার ডাটা স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান সমীর মোধা৷ এখন মাইন্ডশেয়ার যা করছে, তা পরোক্ষভাবে বেআইনি ডাউনলোডকে প্রশ্রয় বা প্ররোচনা দেওয়া কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক আছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রডকাস্টার্স (ন্যাব) রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, তারা প্রচেষ্টাটিকে অরুচিকর বলে মনে করেন, যদিও তারা আপাতত কোনো বিচারবিভাগীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন না৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান