1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুড়িগঙ্গা রক্ষায় নতুন উদ্যোগ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩১ জুলাই ২০১৩

অবশেষে ঢাকার ট্যানারিসহ শিল্প কারখানার বর্জ্য বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলা বন্ধ করতে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার৷ বর্জ্য ফেলা বন্ধ না করলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে৷ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরিতে কারখানাগুলো একমাস সময় পাবে৷

https://p.dw.com/p/19HNJ
Bangladeshi commuters use boats to commute on the Buriganga river in Dhaka on September 18, 2012. Large amounts of water hyacinths have hampered the movement of boats on the river for the thousands of commuters that use them. AFP PHOTO/Munir uz ZAMAN (Photo credit should read MUNIR UZ ZAMAN/AFP/GettyImages)
ছবি: Getty Images/AFP

এ সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বুড়িগঙ্গা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে৷ বেঠকে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি জানান, পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বুড়িগঙ্গাকে দূষণ এবং দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা নেবে৷ আগামী একমাসের মধ্যে ট্যানারিসহ সব শিল্প কারখানাকে তাদের বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে হবে৷ নয়তো বুড়িগঙ্গায় তাদের বর্জ্য ফেলার সব পথ বন্ধ করে দেয়া হবে৷ যারা বর্জ্য ফেলার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ মন্ত্রী আরও বলেন, হাজারীবাগের ট্যানারি বুড়িগঙ্গা দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী৷ তিনি ট্যানারিগুলোকে ঢাকার জনবহুল এলাকা হাজারীবাগ ছেড়ে সাভারে তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় চলে যেতে বলেন৷ সাভারে টানারিগুলোর জন্য ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১০ বছর আগে৷

ঢাকা শহর থেকে প্রতিদিন বুড়িগঙ্গায় শিল্পসহ নানা ধরনের ৪,৫০০ টন কঠিন বর্জ্য ফেলা হয়৷ ২০,০০০ টন ট্যানারি বর্জ্য ফেলা হয়, যার মধ্যে নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ আছে৷ যার ফলে বুড়িগঙ্গার পানিতে এখন অক্সিজেন এতটাই কম যে সেখানে মাছ তো দূরের কথা, কোনো জলজ প্রাণীই বেঁচে থাকতে পারেনা৷

বাংলাদেশে ২৭০টি ট্যানারির মধ্যে ২০০ ট্যানারিই রাজধানীর হাজারীবাগে৷ ট্যানারির কারণে হাজারীবাগের ৫০ একর এলাকার মাটি এখন পুরোপুরি রাসায়নিক বর্জ্যে পরিণত হয়েছে৷ এখানকার বাতাস, পানি সবই দূষিত৷ তাই হাজারীবাগ এলাকায় যারা বসবাস করেন, তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে৷ তাঁরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছেন৷

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা-র সমন্বয়কারী ইকবাল হাবিব ডয়চে ভেলেকে জানান, ২০০৩ সালে হাইকোর্ট হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সরিয়ে নিতে বলেছেন৷ এরপর সরকার এবং ট্যানারি মালিকরা মিলে অন্তত ১০ বার সময় নিয়েছে৷ এতে প্রমাণিত হয়, সরকার বা ট্যানারি মালিক কেউই এ ব্যাপারে আন্তরিক নয়৷ তবুও শেষ পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা রক্ষায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা অভিনন্দনযোগ্য৷ তবে ৫ বছর আগে এই সিদ্ধান্ত হলে বুড়িগঙ্গার এই করুন পরিণতি হতনা৷ তিনি আরও বলেন, বুড়িগঙ্গার পানিতে এখন লেড ও ক্যাডমিয়ামসহ ৬ ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আছে৷ তা শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, আশেপাশের ৫৬ কিলোমিটার নদীকে দূষিত করছে৷ তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গার এই দূষিত পানিতে ৪০ লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন৷

ইকবাল হাবিব আরও জানান, হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো সরিয়ে নেয়ার পর ঐ এলাকার মাটি দূষণমুক্ত করতে কমপক্ষে ৩ বছর সময় লাগবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য