1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বের সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ মানুষ এখন ব্রাজিলের মারিয়া ভালেনটিম

১৯ মে ২০১১

ব্রাজিলের এক বৃদ্ধা৷ আগামী জুলাই মাসে তাঁর বয়স হতে চলেছে একশ’ পনেরো৷ বিশ্বের সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ জীবিত মানুষ হিসেবে গিনেস বুক’এ নাম উঠলো তাঁর৷

https://p.dw.com/p/11JZE
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকডস'এর পক্ষ থেকে বলা হয়, মারিয়ার বয়স ১১৪ বছর ৩১৩ দিনছবি: dapd

বৃদ্ধার নাম মারিয়া গোমেজ ভালেনটিম৷ বুধবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকডস'এর পক্ষ থেকে বলা হয়, মারিয়ার বয়স ১১৪ বছর ৩১৩ দিন৷ তিনি বয়সে অ্যামেরিকার বেসি কুপার, যাকে এতোদিন বিশ্বের সবচেয়ে বৃদ্ধ মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হতো, তার চেয়েও ৪৮ দিনের বড়৷

মারিয়ার জন্ম ১৮৯৬ সালের জুলাই মাসে, ব্রাজিলের কারাঙ্গোলায়৷ স্বাস্থ্যসম্মত খাবারই তাঁর এত বছর ধরে বেঁচে থাকার রহস্য৷ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস'এ বলা হয়েছে, প্রতিদিন সকালে কফির সঙ্গে একটা রুটি, ফল এবং মাঝেমাঝে তারসঙ্গে দুধ ও ডাল এসবই ছিল তাঁর দীর্ঘজীবী থাকার রহস্য৷

মারিয়া জানিয়েছেন, তিনি এখনও নিজে নিজেই তাঁর খাবার খেতে পারেন৷ মাঝেসাঝে একটু ওয়াইনও পান করেন৷ আর পরিবারের সবাই এই বৃ্দ্ধাকে ভালোবেসে ডাকেন ‘গ্র্যান্ড মা কিটা' নামে৷

তাঁর নাতনির মেয়ে নোলাস্কো জানান, মারিয়া এখনও মসলা দেয়া খাবার খেতে পছন্দ করেন৷ দুপুরবেলা তাঁর পছন্দের খাবার হল মুরগি আর গোলমরিচ দিয়ে তৈরি পিঠা৷ নোলাস্কো বলেন, আমরা তাঁর কাছে তাঁর এতোদিন বেঁচে থাকার রহস্যের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজেই আমার নিজের জীবনের দেখভাল করেছি৷'' তিনি আরও বলেন, পা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে তিনি একা একা রাস্তায় হাঁটা বন্ধ করেছেন৷ তার আগ পর্যন্ত তিনি রাস্তায় একাই চলাফেরা করতেন৷ চোখে দেখতে এবং কানে শুনতে অসুবিধা হয় তাঁর৷ গত ১৫ বছর ধরে পেস মেকার ব্যবহার করতে হচ্ছে তাঁকে৷ কিন্তু তারপরও এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেননা তেমন৷ মারিয়ার নাতনির মেয়ে আরও বলেন, আমি মনে করি তিনি একজন সাধারণ সুখী মানুষ৷

ছয় ভাইবোনের মধ্যে এই বৃদ্ধা ছিলেন সবচেয়ে বড়৷ তাঁর ভাইবোনদের কেউ আর এখন বেঁচে নেই৷ ১৯১৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়৷ তাঁর একমাত্র সন্তানও মারা গেছেন৷ ১৯৪৬ সালে তাঁর স্বামী মারা যান এবং এরপর তিনি আবারও বিয়ে করেন৷

উল্লেখ্য, তিনিই প্রথম ব্রাজিলিয়ান, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে গিনেস বুক এ যাঁর নাম উঠল৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক