বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাত সমুদ্রবন্দর
বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সমুদ্রবন্দরগুলো৷ চলুন জেনে নিই, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাত সমুদ্রবন্দরের কথা৷
হামবুর্গ
জার্মানির সবচেয়ে বড় বন্দরটি হামবুর্গে৷ শুধু ২০১৫ সালে ১৩৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন কার্গো পরিবহন করা হয়েছে এই বন্দর থেকে৷ মোট ৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন কন্টেইনারে করে সেসব কার্গো বহন করা হয়েছে৷ ইউরোপের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম বন্দর হামবুর্গ, তবে বিশ্বের মধ্যে ১৯তম৷
অ্যান্টোয়ার্প
বেলজিয়ামের সবচেয়ে বড় বন্দরের অবস্থান অ্যান্টোয়ার্পে৷ বছরে গড়ে ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন কন্টেইনার পরিবহন করা হয় এই বন্দর থেকে৷ কন্টেইনার বহনের হিসেবে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর এটি, বিশ্বের মধ্যে ১৫তম৷
রটারডাম
ইউরোপের সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর রটারডাম৷ সারা বিশ্বের মধ্যে এটি ১২তম৷ পুরো বন্দরের দৈর্ঘ্য ৪২ কিলোমিটার৷ বন্দরটি থেকে কন্টেইনার পরিবহনের পরিমান ২০১৬ সালে ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৪ মিলিয়নে৷
লস এঞ্জেলেস / লং বিচ
সিটি সেন্টার থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে সান পেড্রো বে’তে লস এঞ্জেলেসের বন্দরটির অবস্থান৷ বন্দরটি লং বিচ বন্দরের খুব কাছে৷ এই দুই বন্দরের পণ্য পরিবহনের হিসেব একত্রে করলে বিশ্বে দশম হয় তারা ৷ বছরে গড়ে ১৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন কন্টেইনার বহন করা হয় বন্দর দু’টি থেকে৷
দুবাই
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় এবং ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বন্দর দ্য জেবেল আলী বন্দর৷ গত শতকের সত্তরের দশকের শেষের দিকে এটি তৈরি করা হয়৷ বর্তমানে বছরে গড়ে ১৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন কন্টেইন্টার বহন করা হয় বন্দরটি থেকে৷ বিশ্বের মধ্যে এটির অবস্থান নবম৷
গুয়াংজু
গুয়াংজু বন্দরটি চীনের ছয়টি বড় বন্দরের একটি, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দশটি বন্দরের মধ্যে রয়েছে৷ ২০১৫ সালে বন্দরটি থেকে ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন কন্টেইনার বহন করা হয়েছে৷
বুশান
সোলের পর দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগরী বুশান৷ এটি পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র৷ শুধু ২০১৫ সালেই বন্দরটিতে ১৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন কন্টেইনার তোলা ও খালাস করা হয়েছে৷