1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিবাদকারীদের পাশে শিক্ষকরা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জেএনইউ-র আন্দোলনকারীদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ও পুনের ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট৷ যদিও নাগরিক সমাজ মনে করে রাষ্ট্র বিরোধীতার অভিযোগ উঠলে, সেই প্রতিষ্ঠানে সরকারি অনুদান বন্ধ করে দেয়া উচিত৷

https://p.dw.com/p/1HvhF
Indien Studentenproteste in Neu Delhi
ছবি: Getty Images/AFP/S. Hussain

দিল্লির নাম করা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পড়ুযাদের প্রতিবাদ আন্দোলন ক্রমশই নতুন মাত্রা পাচ্ছে৷ এবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন ২৫০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক৷ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এবং হোস্টেলে ঢুকে পুলিশের অবাধ ধর-পাকড়ের জন্য উপাচার্য ও তাঁর প্রশাসনকে তাঁরা দায়ী করেন৷ অভিযোগ করেন, ছাত্র অসন্তোষ নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অভ্যন্তরিণ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাকে কোনো সুযোগ না দিয়ে উপাচার্য ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢোকার অনুমতি দেন কী করে? এমন কি উপাচার্য যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, তার রিপোর্ট পেশ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়নি৷ এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব-শাসন বিপন্ন৷ সত্যিই যে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়েছিল, তারও অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখনো পর্যন্ত৷ তাছাড়া এই অভিযোগে যেসব ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারাই যে শ্লোগান দিয়েছে তারই বা প্রমাণ কী? আসলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সন্দেহের ভিত্তিতেই পুলিশের এই ধর-পাকড়, এমনটাই অভিযোগ জেএনইউ-র শিক্ষকদের৷

এদিকে জেএনইউ-র ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুনের ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট, সংক্ষেপে এফটিআইআই-এর ছাত্র সংগঠনগুলি৷ জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ধৃত ছাত্রদের অবিলম্বে মুক্তির জন্য দাবিও জানায় তারা৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দলিত ছাত্রের আত্মহত্যার জেরে ছাত্র ইউনিয়ন পথে নামে৷ তার কিছু দিন আগেই এফটিআইআই-এ বিজেপি সরকারের মনোনীত একজনকে ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা৷ তারা অভিযোগ জানিয়ে বলেছিল, যারা সরকারের মতাদর্শের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরই ধর-পাকড় করা হচ্ছে৷

কী নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত? সংসদ ভবনের ওপর ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্ত আফজল গুরুর ফাঁসির স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নাকি রাষ্ট্র-বিরোধী স্লোগান দেয় একদল ছাত্র৷ এই অভিযোগেই ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কানাইয়া কুমার এবং অন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ৷ এর জের গড়ায় দিল্লি আদালত পর্যন্ত৷ গ্রেপ্তার করা ছাত্রদের সোমবার আদালতে তোলার কথা ছিল৷ কিন্তু তার আগেই গণ্ডগোল বাঁধে৷ অভিযোগ, আদালত কক্ষে জড়ো হওয়া শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর করা হয়৷ এমনকি আদালত কক্ষ থেকে তাদের বেরও করে দেয় মাত্র জনা ৫০ বিজেপি এবং আরএসএস সমর্থক৷ আদালত চত্বরেই স্লোগান ওঠে, ভারত দীর্ঘজীবী হোক, জেএনইউ বন্ধ হোক৷

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ এশিয়ার একটি নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়, যা চলে সরকারি অর্থানুকুল্যে৷ করদাতা নাগরিক সমাজ মনে করে, এই ভরতুকির টাকায় যদি রাষ্ট্রবিরোধী আঁতুড় ঘরের জন্ম হয়, তাহলে কি দরকার এই ভরতুকি দেয়া? তাই অবিলম্বে তা বন্ধ করে দেয়া উচিত, মনে করেন তারা৷ তাদের কথায়, গণতন্ত্রে সরকারবিরোধী মত প্রকাশের, সরকারের কাজকর্মের সমালোচনা করার অধিকার অবশ্যই থাকবে৷ কিন্তু তার সঙ্গে রাষ্ট্র-বিরোধীতা এক করে দেখা অনুচিত৷

বন্ধু, আপনি কার দলে ছাত্র-শিক্ষকদের না নাগরিক সমাজের? জানান আপনার মতামত...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান