1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে ইউরোপের দেশগুলি

২৩ মে ২০১৪

অ্যামেরিকা মহাদেশে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে কখনও শিরোপা জেতেনি ইউরোপের কোনো দেশ৷ বর্তমান সাফল্যের জোয়ারে তারা কি ব্রাজিলে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয় করতে পারবে? এ প্রশ্ন কিন্তু আজকাল উঁকি দিচ্ছে অনেকের মনেই৷

https://p.dw.com/p/1C4d2
ছবি: Getty Images

ফুটবল এমন একটা খেলা, যাতে আগেভাগে হারজিত সম্পর্কে কিছুই বলা যায় না৷ তাই রোমাঞ্চ আর উত্তেজনার শেষ নেই৷ তবে পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে পূর্বাভাষের একটা রীতি চালু রয়েছে৷ যেমন ব্রাজিলে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে শুরু হয়ে গেছে হিসাব-নিকাশ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে ইউরোপের কোনো দেশ অ্যামেরিকা মহাদেশে কখনো কোনো বিশ্বকাপ জয় করেনি৷ এখনো পর্যন্ত মোট সাতবার বিশ্বকাপের আসর বসেছে উত্তর ও দক্ষিণ অ্যামেরিকায়৷ এবার ব্রাজিলে কি সেই প্রবণতায় ছেদ পড়বে?

ফুটবল জগতে এই মুহূর্তে ইউরোপের রমরমা৷ ২০১০ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে চারটি দেশের মধ্যে তিনটিই ছিল ইউরোপের৷ ক্লাব পর্যায়ে এই সাফল্যের মাত্রা আরও বেশি৷ ক্লাব পর্যায়ের বিশ্ব প্রতিযোগিতায় যে সাতটি টিমের জয় হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছয়টি ছিল ইউরোপের৷

আরও একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করার মতো৷ লিওনেল মেসির মতো দক্ষিণ অ্যামেরিকার অনেক তারকা খেলোয়াড় বছরের বেশিরভাগ সময় জুড়ে ইউরোপে ক্লাব পর্যায়ে খেলতে ব্যস্ত থাকেন৷ ফলে ব্রাজিলে বিশ্বকাপের মাঠে তাঁরা যে বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, তা ধরে নেওয়া কঠিন৷ এমনকি খোদ ব্রাজিলের জাতীয় দলের মধ্যেও খুব কম খেলোয়াড় থাকবেন, যাঁরা শুধু ব্রাজিলেই খেলে আসছেন৷

একটা সময় ছিল, যখন নিজের দেশে খেলার কিছু বাড়তি সুবিধা ছিল৷ সবার উপরে ছিল দর্শকদের সমর্থন৷ আজকাল ফুটবল অনেক বেশি প্রযুক্তি-নির্ভর হয়ে পড়া সত্ত্বেও অন্য মহাদেশে গিয়ে খেলা এখনো পুরোপুরি সহজ নয়৷ অতীতে পরিবহন ছিল বড় এক সমস্যা৷ ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে, ১৯৫০ সালে ব্রাজিল ও ১৯৬২ সালে চিলিতে বিশ্বকাপের সময় কিছু টিম জাহাজে করে খেলতে এসেছিল৷ আজ আর সেই সমস্যা নেই৷ বিলাসবহুল জেটে করে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন৷ স্থানীয় আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য